উচ্চপ্রযুক্তির বায়োলজিক্যাল ভায়ালের বৈশ্বিক সরবরাহ বাজারে পা রাখার মাধ্যমে একটি মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এ লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশ ও একটি শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তির আওতায় এসকেএফ ফার্মা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন হাই-টেক বায়োলজিক্যাল ভায়াল পণ্য রফতানি করবে। এই রফতানি চুক্তি বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের জন্য মাইলফলক। দেশের কোনো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির জন্য এটিই সবচেয়ে বড় বার্ষিক রফতানি চুক্তি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান বলেন, ‘বায়োলজিক্যাল ভায়াল রফতানি এসকেএফ ফার্মার জন্যই শুধু একটি মাইলফলকই নয়, লাখো রোগীকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি মহৎ উদ্যোগ বলেও আমি বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু জেনেরিক ওষুধই রফতানি করছি না, আমরা হাই-টেক বায়োলজিক্যাল পণ্যও রফতানি করতে যাচ্ছি। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, ‘এই অংশীদারত্বের মধ্য দিয়ে বায়োলজিক্যাল পণ্য রফতানি করা হবে, যা নিশ্চিতভাবে মানবজাতির জন্য উপকার বয়ে আনবে।’
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে এসকেএফ নিজস্ব কারখানায় বায়োলজিক্যাল পণ্য উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারে বাজারজাত করে আসছে। কারখানাটিতে বিশ্বমানের বায়োটেক পণ্য উৎপাদনে সক্ষম আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। সেখানে এসব পণ্য উৎপাদনে জিএমপির (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস) মান অনুসরণ করা হয়। রফতানি চাহিদা মেটাতে কোম্পানিটি উৎপাদন সক্ষমতা আরো বাড়াবে।