অনুমোদ পাওয়ার পর প্রথমেই নিজস্ব উদ্যোক্তাদের নিয়ে বাজারে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। অ্যাপনির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়ার প্রত্যয়ে ব্যাংকটি হতে যাচ্ছে প্রান্তিক মানুষের আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের কাছ থেকে অনুমোদন পত্র হাতে পাওয়ার পর এমনটাই জানিয়েছেন নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুক।
নগদ এমএফস প্রতিষ্ঠাতা মনে করেন, এমএফএস এখন ব্যাকডেটেড। এটি একটা হাতকাটা ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংক আসার ২-৩ বছরের মধ্যে আর এমএফএস থাকবে না।
নগদ ডিজিটাল ব্যাংক কেমন হবে সে বিষয়ে ধারণা দিয়ে তানভীর এ মিশুক বলেন, প্রান্তিক মানুষের ব্যাংক হিসেবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক থেকে এক ক্লিকে ঋণ পাওয়া যাবে। ঋণ বা সেবা নিতে কো-লেটারাল, বাই-লেটারাল দরকার হবে না। যে কয়দিনের জন্য ঋণ নেবে ওই কয়দিনের জন্য এক অংকের সুদে। মাটির ব্যাংকে যারা টাকা জমান তাদের জন্য শুরুতেই ১০ টাকা করে মাইক্রো সেভিংস অ্যাকাউন্ট চালু করবে। দৈনন্দিন খরচের জন্য একটি অ্যাপের মাধ্যমে ৬৪টি ব্যাংক ও এমএফএস সংযুক্ত করে তার প্রয়োজনীয় সব প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের মানুষ ব্যাংকে ঢুকতে ভয় পেলেও অ্যাপে সেবা নিতে ভয় পাবে না। মহাজনদের কাছ থেকে ৩০-৪০ শতাংশ দৈনিক সুদে ঋণ নিতে পারবে। তাদের ট্রেডলাইসেন্স, টিন, ভ্যাট সনদ আছে কিনা তা দেখবে না।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার দেশে প্রথমবারের মতো প্রাথমিকভাবে দুটি ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ দুটি হলো নগদ ডিজিটাল ব্যাংক ও কড়ি ডিজিটাল ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর অনুমতি পাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সঙ্গে বর্তমান উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি রয়েছে সামিট ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান ফরিদ খানসহ অন্যরা। আর কড়ি ডিজিটাল ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা বেসিস সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম। কড়ি ডিজিটাল ব্যাংকে ট্রান্সকম, এসিআই ও স্কয়ারের অর্থায়ন আছে।