পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর নতুন ধারার ব্যাংক ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ চালু করতে আগ্রহীদের আবেদন নিতে খোলা হয়েছে নতুন ওয়েব পোর্টাল। আবেদনের সময় দেয়া হয় ৪২ দিন। কিন্তু ৪০ দিনেও আবেদন করেনি একটি প্রতিষ্ঠানও। তবে অনেকে ইউজার আইডি খুলেছে। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে এমএফএস কোম্পানি ‘বিকাশ’, ‘নগদ’ এবং মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক নিজেদের কাগজপত্র প্রস্তুত করলেও এখনো জমা দেয়নি। এছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরমধ্যে একটি সংস্থা কনসোর্টিয়াম করতে যাচ্ছে। এদের অনেকেই আবেদনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আরো ১৬ দিন অবেদনের সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ নিয়ে রবিবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স এন্ড পাবলিকেশন্স থেকে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। সংস্থার পরিচালক (এক্স ক্যাডার-প্রকাশনা) ও সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদনের লক্ষ্যে সকল আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি এবং বিভিন্ন দলিলাদি সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করে আবেদনপত্র দাখিলের সময়সীমা ১৭ আগস্ট ২০২৩ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ইতিপূর্বে ২০ জুন ২০২৩ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ চালুর অনুমোদন দেয়। ১৫ জুন এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করে। এরই ধাবাহিকতায় ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ – এর জন্য অনলাইনে আবেদন জমা দিতে গত ২১ জুন একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবেদনের সময় দেয়া হয়েছিলো ১ আগস্ট পর্যন্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে প্রকাশ, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাগুজে নথি জমা দিয়ে নয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র ডিজিটাল উপায়েই জমা দিতে হবে। আবেদন ফি হবে পাঁচ লাখ টাকা, যা অফেরতযোগ্য। আর এই ব্যাংক খুলতে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা। পরিচালক হতে লাগবে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা।
শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ ছাড়াই পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর চলবে ‘ডিজিটাল ব্যাংক’। থাকবে না সশরীরে লেনদেনের কোনো ব্যবস্থা। মোবাইল আর ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারে গ্রাহকদের দেবে ব্যাংক সেবা। ডিজিটাল ব্যাংকে গ্রাহক হিসাব খোলা হবে কেওয়াইসি পরিপালন করে অনলাইনে। হিসাব খোলার পর ভিন্ন কোনো ব্যাংক বা এমএএফএস এজেন্ট, এটিএম বুথ, সিডিএম, সিআরএম নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থ স্থানান্তর এবং ব্যবহার করতে পারবে গ্রাহক। নিজের অ্যকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যাবে একই পদ্ধতিতে।