আরও ৯টি নতুন বেঞ্চ যোগ হয়েছে উচ্চ আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে। এর ফলে রোববার (১২ জুন) থেকে ভার্চ্যুয়ালি বিচারকাজ পরিচালানা করবেন ৩০ বেঞ্চ। আর এর ফলে দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৪ এপ্রিলের পর রোববার থেকে সর্বোচ্চ ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ পাচ্ছেন বিচার প্রার্থীরা।
এদিকে চলমান লকডাউনের মধ্যে ৪০ কার্যদিবসে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৭৫ জন হাজতি। এর মধ্যে এক হাজার ১৭ জনই শিশু।
নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কার্যক্রম বিষয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
তিনি জানিয়েছেন, গত ১২ এপ্রিল থেকে ১০ জুন পর্যন্ত মোট ৪০ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে এক লাখ ২৩ হাজার ৬৫টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।
এ সময়ে মোট ৬৩ হাজার ৭৫ জন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন পেয়ে কারাগার মুক্ত থেকে হয়েছেন। এর মধ্যে ভার্চ্যুয়াল আদালতে একই সময়ে মোট জামিন পেয়েছে ১০১৭ জন শিশু।
লকডাউনের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চালাতে প্রধান বিচারপতির আদেশে ১১ এপ্রিল রোববার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারি কোভিড-১৯ এর ব্যাপক বিস্তার রোধে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।