চলতি মাসেই ইউটিউব তাদের ইউটিউব টিভির সাবস্ক্রিপশন ফি বাড়িয়েছে। এরপর ইউটিউব টিভির ব্যবহারকারীদের জন্য মাল্টিভিউ ফিচার। এমন খবরের মধ্যে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং সার্ভিস নেটফ্লিক্স জানিয়েছে চলতি বছর নিজেদের প্লাটফর্মে ৫০টি নতুন গেম আনবে তারা। ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তারা যেখানে ২২ টি গেম এনেছে সেখানে চলতি বছরেই ৫০টি গেম আনার খবরটি চমকে দিয়েছে অনেককে। আর চলতি বছরের প্রতি মাসেই নতুন গেম প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে নেটফ্লিক্স। এই তালিকায় আছে ‘ইন্ডি গেমারদের পছন্দের, পুরস্কার জেতা, আরপিজি, বর্ণনামূলক অ্যাডভেঞ্চার ও পাজল ঘরানার’ বিভিন্ন গেম।
নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ৭০টি আলাদা গেমের ডেভেলপমেন্ট চালু আছে। এর মধ্যে কেবল ১৬টি বানাচ্ছে কোম্পানির নিজম্ব স্টুডিওগুলো। নতুন আনা ৫০টি গেমের মধ্যে মার্চেই চালু করা হবে শহর নির্মাণ ভিত্তিক গেইম ‘টেরা নিল’। এটি প্রকাশ হবে ২৮ মার্চ। একই সময়ে আসবে ‘পেপার ট্রেইল’ নামের পাজল গেম। এর পরের মাস, এপ্রিলে আসবে অ্যাসাসিন ক্রিড। এছাড়া আরও কিছু জনপ্রিয় গেম এ বছরেই যোগ হবে নেটফ্লিক্সে।
এর পাশাপাশি, ফরাসী গেইম নির্মাতা কোম্পানি ইউবিসফটের সঙ্গে তিনটি এক্সক্লুসিভ গেইম আনার লক্ষ্যে চুক্তি করেছে নেটফ্লিক্স। এর মধ্যে দ্বিতীয় গেইমটি আসবে ১৮ এপ্রিল। গেমটির নাম ‘মাইটি কোয়েস্ট: রোগ প্যালেস’। ‘দ্য মাইটি কোয়েস্ট ফর এপিক লুট’ গেমে বিদ্যমান জগতের প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে গেমটি তৈরি। তবে, এর কার্যকারিতা, গল্পের গভীরতা ও গেইমপ্লে তুলনামূলক উন্নত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। খবর অনুযায়ী, বছরের শেষ নাগাদ আসতে পারে নেটফ্লিক্সে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার খেলা গেম ‘টু হট টু হ্যান্ডল: লাভ ইজ এ গেম’-এর পরবর্তী সংস্করণ। প্ল্যাটফর্মের ‘টু হট টু হ্যান্ডল’ নামের রিয়ালিটি শো’র ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে গেমটি।
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের মোবাইল গেইম লাইব্রেরিতে ‘ভ্যালিয়ান্ট হার্টস: কামিং হোম’ ও চমকপ্রদ ‘হাইওয়াটার’ নামের গেম দুটি যুক্ত করার পর এতে এখন সর্বমোট ৫৫টি গেম রয়েছে। এনগ্যাজেট বলছে, কোম্পানিটি অন্তত এমন একটি গেইম নিশ্চিত করতে চায়, যা প্ল্যাটফর্মের ২৩ কোটি গ্রাহকের প্রত্যেকেই উপভোগ করতে পারেন। নেটফ্লিক্স বলছে, সাপ্তাহিক ‘কনটেন্ট ড্রপ’ গেইমারদের প্ল্যাটফর্মে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করেছে। আর গেম নির্মাতা ন্যানোবিটের সঙ্গে এই সংস্করণ নিয়ে কাজ করার বিষয়টিও জানিয়েছে কোম্পানিটি।
২০২১ সালে নেটফ্লিক্সে গেইমিং সুবিধা চালুর পর থেকে নেটফ্লিক্সের পর্যবেক্ষণ বলছে, গেমাররা মূলত তিন ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বেশি আকৃষ্ট হয়। এর একটি হলো ‘টিনএইজ মিউট্যান্ট নিঞ্জা টার্টলস: শ্রেডার’স রিভেঞ্জ’ ও ‘ইমর্টালিটি’র মতো পরিচিত গেম; ‘সলিটেয়ার’ ও ‘নিটেনস’-এর মতো দৈনিক ভিত্তিক গেম ও ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’-এর মতো নিজস্ব সিরিজ বা সিনেমার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা গেমগুলো।