যুবরাজসহ সৌদি আরবের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশই গেইমার। স্বভাবতেই গেইমিং শিল্পে পেট্রোডলার বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে রিয়াদ। এর মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ আড়াইশ গেইমিং কোম্পানি ও স্টুডিও স্থাপনের পাশাপাশি ৩৯ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য স্থির করেছে।
বিনিয়োগ কোম্পানি ‘পিডব্লিউসি’র অনুমান বলছে, ২০২৬ সাল নাগাদ ভিডিও গেইম খাতের বৈশ্বিক আয় ৩০ হাজার কোটি ডলার ছাড়ানোর পাশাপাশি বিনোদন ও গণমাধ্যম খাতে এখান থেকে ১০ শতাংশের বেশি যাবে।
সেই বাজার ধরতে এরইমধ্যে গত দুই বছরে বিশ্বের বিভিন্ন গেইমিং কোম্পানির মালিকানার অংশ কেনার পেছনে আটশ কোটি ডলারের বেশি খরচ করেছে সৌদি আরব। এইসব চুক্তির কেন্দ্রে ছিল সৌদি সমর্থিত গেইমিং কোম্পানি ‘স্যাভি গেইমস’। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘ফাইনান্সিয়াল টাইমস’ জানিয়েছে, রিয়াদ এরইমধ্যে চীনের ভার্চুয়াল ইস্পোর্টস প্রকল্প ‘ভিএসপিও’, সুইডেনভিত্তিক ‘এমব্রেসার গ্রুপ’-এ বড় অংশীদারিত্ব ও মার্কিন কোম্পানি ‘স্কোপলি’ অধিগ্রহণ করেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত স্যাভি’র পুরো মালিকানা সৌদি আরবের ৬৫ হাজার কোটি ডলারের ‘পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)’-এর অধীনে। এর প্রধান সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
তিনি বলছেন, সাত বছরের মধ্যে তিনি সৌদিকে ‘গেইমিং ও ইস্পোর্টস খাতে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক হাব’-এ রূপান্তর করতে চান।