ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ‘অসম্পাদিত’ হওয়ায় এর মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে মিডিয়াকে প্রোপাগান্ডামুক্ত রাখতে ক্রসচেক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিতে তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) সাংবাদিকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে তাদেরকে ‘জ্যাক অব অল ট্রেড ‘ হতে আহ্বান জানিয়েছেন দৈনিক বাংলাদেশের খবর ও বাংলাদেশ নিউজ এর সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া। আর প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, ‘ফেসবুক খেলোয়াড়‘দের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হয়ে ‘চালিয়াতি’ না করে ফ্যাক্ট ও ক্রস চেকের বিষয়ে মিডিয়া ম্যানেজারদেরও সচেতন হতে হবে।
শনিবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সম্মেলন কেন্দ্রে আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) সদস্যদের নিয়ে দু’দিনের ‘সাংবাদিকতায় ফ্যাক্টচেক’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী পর্বে এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা এড়াতে ক্রসচেক না করে কোনো সংবাদ প্রকাশ করা উচিত নয়। সংবাদ প্রকাশ বা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্ধতাকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাফর ওয়াজেদ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিআইজেএফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে তাই আমরা বিআইজেএফ সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সবার আগে তাদেরকে ড্রোন সাংবাদিকতা সম্পর্কে জানাতে চাই। আমি চাই, আইসিটি সাংবাদিকরা কাঠামোবদ্ধ প্রতিবেদনের পরিবর্তে জনজীবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়েও লিখবে। লেখার ভাষা হতে হবে সহজবদ্ধ ও নমনীয়। নির্দিষ্টস্থান জুড়ে কিংবা সপ্তাহে এক দিন নয়, প্রতিদিন পুরো পাতা জুড়েই আইসিটি সংবাদ হওয়া দরকার।
‘আবেগ’ ও ‘বিনয়’-কে কাজে লাগিয়ে কীভাবে প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিকতা করা যায় তারও উপমা তুলে ধরেন উভয় বক্তা।
আগামীতে বিআইজেএফ এর সদস্যদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানে পিআইবি’র সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার। তিনি বলেন, পিআইবি নিয়মিত বিআইজেএফ সদস্যদের জন্য ডেটা জার্নালিজম, সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও মোবাইল সাংবাদিকতাসহ নিবন্ধন ফি ছাড়া অনলাইন প্রশিক্ষণ দেবে বলেও আমি আশা করি।
প্রতিউত্তরে মৌখিক সম্মতি দিয়ে বিআইজেএফ-কে লিখিত আবেদন করার পরামর্শ দেন পিআইবি মহাপরিচালক।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিআইজেএফ সহ-সভাপতি ভূইয়া এনাম লেনিন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরমান, কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মাদ আসাদুজ্জামান লিমন ও নির্বাহী সদস্য এস, এম ইমদাদুল হকসহ ৩০জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এএফপি’র ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দীন শিশির এবং মুহাম্মাদ আলী মাজেদ। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয় সনদ ।