ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম লিমিটেডের পাওনাদার গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে লেখা এই চিঠিতে ক্রেতাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
টাকা নিয়ে পণ্য দেওয়া হয়নি, আবার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি এমন ৬ হাজার ৭২১টি লেনদেনগুলোর বিপরীতে ৫৯ কোটি ৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হবে প্রথম দফায়। এজন্য লেনদেনের একটি তালিকা গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে কিউকম ও তাদের পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ফস্টার করপোরেশন। গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ‘ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আটকে থাকা কিউকমের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভা’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তালিকাটি তৈরি করা হয়।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে কিউকমডটকম। ইভ্যালির মতো তারাও বিশাল ছাড়ে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করে আসছিল। কিউকম ‘বিজয় আওয়ার’, ‘স্বাধীনতা আওয়ার’, ‘বিগ বিলিয়ন’ নামে বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে কম দামে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিত। অগ্রিম টাকা নিয়ে ২ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে গ্রাহককে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
কিউকমের দাবি অনুযায়ী, তাদের নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ৬ লাখের বেশি। ফস্টার আটকে রাখায় গ্রাহকদের ৪২০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে পারছে না বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অভিযোগ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।