তিনশ কোটি টাকা ‘আত্মসাত ও পাচারের’ অভিযোগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির বিরুদ্ধে অন্যান্য সংস্থার পর্যবেক্ষণ আমলে নিয়ে তদন্ত চালাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম ও মার্চেন্টের পাওনা প্রায় ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ ও পাচারের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। আর সংস্থাটির তদন্ত প্রক্রিয়া এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় ইভ্যালি’ ব্যবসার মাধ্যমে মানিল্ডারিং (অর্থ পাচার) বা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করেছে কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়ছেন দুদকসচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
দুদক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘ইভ্যালির অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে কাজ চলছে। মানিল্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ কিংবা জনগণ বা রাষ্ট্রের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি কতটুকু হয়েছে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আর আমাদের নিজস্ব অনুসন্ধান এখনো চলমান রয়েছে।’
তবে আইন অনুযায়ী অপরাধ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুদকের অনুসন্ধান টিম জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
দুদক সচিব বলেন, ইভ্যালি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে, আমাদের কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে। ইভ্যালির যে বিষয়গুলো আমাদের এখতিয়ারে আছে, আমরা সেটা নিয়ে কাজ করবো। সেক্ষেত্রে কাজ এখনো এনকোয়ারি স্টেজে প্রাথমিকভাবে চলছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে অনুসন্ধান টিম।
দুদকসচিব আরও বলেন, ইভ্যালি নিয়ে শুধু আমরা কাজ করছি না। অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার তদন্তের অগ্রগতি বা তারা যে পদক্ষেপ নেবে, সেগুলোও আমরা অনুসন্ধানের স্বার্থে আমলে নেব।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহক ও মার্চেন্টেদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল কাজ করছে। তারা হলেন- দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম।