চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-ভ্যালি মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হলো। আজ আদালতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন তিনি।
অভিযোগ গঠনের সময় পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মিয়া হোসেন জানিয়েছেন, আজ আদালতে এ মামলার চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় আদালত চার্জ গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।
চেক প্রতারণার অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী। বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।
আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় একই বছরের ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স সই করে বাদী বরাবর ইস্যু করেন। ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়।
পরে বাদী আসামিদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন।