এইচএসসি পাসের আগেই বিশ্বসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) স্নাতক পড়ার সুযোগ পেয়েছেন ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্সে (আইওআই) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ব্রোঞ্জ জয়ীনাফিস উল হক সিফাত। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি। গত বুধবার এমআইটি থেকে পাঠানো এক ই-মেইলে নাফিসের ভর্তির সুযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
নাফিসের এমন সফলতায় শুক্রবার (১৭ মার্চ) তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস।
চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় বাবা-মার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকেন নাফিস। তার বাবা-মা দুজনেই শিক্ষকতা করেন। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছোট। নাফিসের বাবা মো. নাসির উদ্দিন মতলব রয়মনেনসা মহিলা কলেজের শিক্ষক। আর মা কামরুন নাহার হাজীগঞ্জ মডেল কলেজের শিক্ষিকা। নাফিসের গ্রামের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার নওগাঁ গ্রামে। তার বড় বোন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসিতে পাস করেন নাফিস। ছোটবেলা থেকে গণিতের প্রতি আলাদা আসক্তি রয়েছে তার। ভবিষ্যতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখেন তিনি। এরইমধ্যে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গণিতসহ বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে পেয়েছেন পদকও। বাংলাদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে নাফিজ সবচেয়ে কম বয়সে এইচএসসিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় এমআইটিতে স্নাতক পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে সে ২০২১ ও ২০২২ সালে বাংলাদেশকে ইনফরমেটিক্স ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াডে রিপ্রেজেন্ট করেছে।