দুই দফা দাবিতে শিক্ষকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ফলে বন্ধ হয়ে গেছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এতে করে সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকদের শঙ্কা বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. কামরুজ্জামান বলেছেন, আমাদের যা দাবি সেটা লিখিত জানিয়ে দিয়েছি আর ভিসি স্যার সেটা নিয়ে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে নিজের অসহায়ত্ব অবস্থান তুলে ধরেন বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব। তিনি বলেন, শিক্ষকরা কোনো নিয়মনীতি মানতে চাচ্ছেন না। এখন আমি কী করবো? বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩৫০ জনের মতো শিক্ষকের মধ্যে ১০০ জন বাইরে আছে। এখন আমার শিক্ষক লাগবে কিন্তু আমি কিছুই করতে পারছি না।
‘যেখানে ডিসি, এমপিসহ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন হাইটেক পার্কটা হোক সেখানে শিক্ষকদের মধ্যে একটি মহল এই কাজে বাধা দিচ্ছেন। তারপরও আমি আবার তাদের সঙ্গে বসবো এবং রিজেন্ট বোর্ডে বিষয়টি আবার তুলবো’-যোগ করেন বশেমুরবিপ্রবি ভিসি।
দীর্ঘদিন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া কঠিন হবে এমনকি ক্যারিয়ার ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে শঙ্কিত বিশ্ববিদ্যলয়ের চতুর্থ ও শেষ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, আজ থেকে আমাদের মিডটার্ম হওয়ার কথা ছিল কিন্তু এই পরিস্থিতির কারণে হচ্ছে না। ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের সব শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়তো সম্ভব না। আমরা এরই মধ্যে করোনার কারণে সেশনজটে আছি। চরম হতাশার মধ্যে আমাদের দিন কাটছে। বারবার একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় আমরা পড়াশোনায় ঠিকমতো মন দিতে পারছি না। দ্রুত এটার সমাধানে আসা উচিত। তা না হলেআমাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে।