দেশের পরিবহন খাতকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনতে ‘গো বাংলাদেশ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছে করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান সৌরভ, ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম এবং ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর হোসাইন ও নিশাত মাহমুদ।
কিউআর কোড, ডিজিটাল ওয়ালেট, মোবাইল ব্যাংকিং এবং ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে তাদের উদ্ভাবিত অ্যাপে। এর মাধ্যমে যাত্রীরা কিউআর কোড স্ক্যান করেই দিতে পারবেন ভাড়া।
অ্যাপটি উদ্ভাবনে শিক্ষার্থী টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ, সাবেক শিক্ষক এবং ন্যাশনাল কনসালটেন্ট জাহিদুর রহমান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অ্যাপটির সঠিক ব্যবহার করা গেলে গণপরিবহণের নিত্যদিনের সব ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে নগরবাসী। আসবে গণপরিবহণ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলাও।
ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত পদ্ধতিটি বাস্তবায়নের জন্য উদ্ভাবন ডিজাইন ও উদ্যোক্তা একাডেমি ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রেপ্রেনারশিপ একাডেমি (আইডিইএ) থেকে ১০ লাখ টাকার ফান্ড পেয়েছে প্রকল্পটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়েছে। অ্যাপটি নিয়ে সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ জানিয়েছেন, অনিবন্ধিত বাস ও ড্রাইভার এ সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবে না। বাসের প্রতিটি সিটের পেছনে একটি করে কিউআর কোড লাগানো থাকবে। যাত্রী যে সিটে বসে আছে, তার সামনের সিটের পেছনে সে সিটের কোডটি থাকবে। যাত্রীরা তার সামনের কোডটি স্ক্যান করার মাধ্যমে শুধু গন্তব্য সিলেক্ট করে ভাড়া দিয়ে দিতে পারবেন। ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে টাকা কেটে নিবে। তাছাড়া ভবিষ্যৎ ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিটও বুক করে রাখা যাবে। জার্নির বিপরীতে কোনো মন্তব্য বা অভিযোগ থাকলে যাত্রীরা তা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দিতে পারবেন ও সেবার মান নির্ধারণ করতে পারবেন। আর এসব কার্যক্রম সরাসরি পরিবহন মালিক দেখতে পারবেন।