ব্যবহারকারীদের জন্য ‘পে লেটার’ ফিচার চালু করেছে দেশী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও। এ ফিচারটি ব্যবহার করে বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দায়িত্বশীলভাবে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী খরচ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
তবে আপাতত পাঠাও ফুড এর ইউজাররা পেমেন্ট অপশন হিসেবে ‘পে-লেটার’ ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন একবার ট্যাপ করেই। প্রথমে ব্যবহারের লিমিট ২০০০ টাকা পর্যন্ত থাকবে। এবং পরবর্তীতে বিল পরিশোধ করে ফিচারটি পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে।
এই ‘পে লেটার’ সুবিধার জন্য পাঠাও অতিরিক্ত কোন অর্থ নিবে না। ‘পে-লেটার’ এর মাধ্যমে উপভোগ করা অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার সময়সীমা রয়েছে এবং ১৫ দিন পর থেকে লেট চার্জ হিসেবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা যোগ হবে। এছাড়া, বকেয়া অর্থ পরিশোধের বিষয়টি গ্রাহকদের নিয়মিতভাবে ‘রিমাইন্ডার’ এর মাধ্যমে মনে করিয়ে দেবে ‘পাঠাও’।শুধুমাত্র ডিজিটাল পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে, এবং ইউজাররা এক বা একাধিক ধাপে ৩০দিনের মধ্যে এই ডিউ পরিশোধ করতে পারবেন।
এ ফিচারটি বর্তমানে পাঠাও ফুড -এর সবচেয়ে টপ ইউজাররা পাচ্ছেন, যাদেরকে প্ল্যাটফর্মের বিশেষ ডাটা ও অ্যানালিটিকস ইঞ্জিন ব্যবহার করে বাছাই করা হয়েছে। ২০২২ এর প্রথমভাগের মধ্যে আরও যারা কোয়ালিফাই করবেন, তারাও এই সুবিধা পাঠাও ফুড সহ আরো অন্যান্য সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রহণ করতে পারবেন।
এই প্রসঙ্গে পাঠাও সিইও এবং এমডি ফাহিম আহমেদ বলেন, “উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশের মানুষের এখন সময় এসেছে প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা পাবার। ‘পে- লেটার’- ফিচারটি উন্নয়নমূলক হাজারো পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম”
বাংলাদেশের একটি বড় অংশ তরুণ প্রজন্ম, চাঞ্চল্যপূর্ণ এবং ডিজিটাল জগতের বাসিন্দা। প্রয়োজনীয় ‘ক্রেডিট’ এর চাহিদা মেটাতে গিয়ে তাদের অযথা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়।সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার যেসব দেশে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক সবচেয়ে কম, বাংলাদেশ তাদের অন্তর্ভুক্ত। দেশের মাত্র ১ শতাংশ জনসংখ্যা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে। এছাড়া, ‘ক্রেডিট গ্যাপ’ এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার অভাব দেশের ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা এবং এ কারণেই অধিকাংশ লেনদেন ‘ক্যাশ’ বা নগদ অর্থে হচ্ছে।পাঠাও তার উন্নত প্রযুক্তি সক্ষমতা ব্যবহার করে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল ক্রেডিট’ ব্যবস্থায় সত্যিকার অর্থে নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।
ফাহিম আহমেদ আরো বলেন, “এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।”