বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির মার্কেটে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে অ্যাপস। এই করোনাকালীন সময়ে আমরা অ্যাপসের মাধ্যমে ২-৩ টা ক্লিকেই বাসায় বসে খাবার পেয়ে যাচ্ছি। এই জিনিসটা আমাদের জীবনকে সহজ করছে এবং অটোমেটেড করেছে বললেন বিডিঅ্যাপসের কমিউনিটি ডেভেলাপার মোহাম্মদ আরিফ হাসান।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) থেকে ৩ দিনব্যাপী অনলাইনে শুরু হয় এমপ্লোয়েবিলিটি ফেস্ট। এমপ্লোয়েবিলিটি ফেস্টের শেষ দিনে (মঙ্গলবার) ‘মনিটাইজ ইউর অ্যাপস এন্ড আইডিয়াস অন বিডিঅ্যাপস’ সেশনে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ফেসবুককে যদি আমি অ্যাপ্লিকেশন ধরি তাহলে দেখবেন ফেসবুকে যত দ্রুত একটা নিউজে ভাইরাল করতে পারবো অন্য কোন মাধ্যমে তা সম্ভব না। ২০১৯ সালে পুরো পৃথিবীতে অ্যাপস ডাউনলোড হয়েছে ২০৪ বিলিয়ন। ২০২০ সালে এর পরিমান হবে দিগুণ। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে অ্যাপের মার্কেটটা কত বিশাল।
আরিফ হাসান বলেন, ৫০ মিলিয়ন ইউজার পেতে ক্রেডিট কার্ডে সময় লেগেছে ২৮ বছর, টেলিভিশনের লেগেছে ২২ বছর এবং এটিএম এর লেগেছে ১৮ বছর। আর ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবের লেগেছে ৩-৪ বছর। এতেই বুঝা যাচ্ছে অ্যাপসের ব্যবহার কত জনপ্রিয়।
একই দিন বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘ট্রানসিশনিং ফম স্টুডেন্ট লাইফ টু প্রফেশনাল লাইফ এন্ড অপর্চুনিটিজ ইন অগমেডিক্স ’ সেশন এই সময় উপস্থিত ছিলেন অগমেডিক্স বাংলাদশের লিড নিয়োগদাতা সাবরিনা আহমেদ । সন্ধ্যা ৭ টায় অনুষ্ঠিত হয় ‘এক্সপেক্টশনস ফম দ্য এমপ্লয়ার’ সেশন যেখানে উপস্থিত ছিলেন সিগমাইন্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর তাবাসসুম। দিনের শেষ সেশন ‘ ইয়ুথ এন্ড এমপ্লয়াবিলিটি অফ বাংলাদেশ’ এ উপস্থিত ছিলেন রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট জাবেদ পারভেজ।
এলআইসিটি এবং আইসিটি বিভাগের দুর্বার প্রকল্পের সঙ্গে যৌথভাবে তিন দিনের এই ফেস্টের মূল আয়োজক দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সোশ্যাল ফিনটেক ভেঞ্চার ইনস্পায়ারিং বাংলাদেশ।
দেশের প্রথম এই এমপ্লোয়েবিলিটি ফেস্টের সহযোগী হয়েছে জিও ফোন, বিএসডিআই, কানাডিয়ান ইউনিভারসিটি বাংলাদেশ, বিডি অ্যাপস, রাবভিক ইনোভেশন, কর্ম জবস, স্কীল জবস, ক্যারিয়ার হাব বাংলাদেশ, শার্পনার, লীডসাস, লাক্স বাংলাদেশ, বীগ ভেঞ্ছার, চার চাকা ও ডিজিবাংলা।