পড়তে বা পড়া শিখতে, লিখতে বা বানান করতে কিংবা মনে রাখতে পারে না এমন শিশুদের মানসিক বিকাশে টেক-সই সমাধান নিয়ে এসেছে এমকিডো। অ্যাপ নির্মাতা মোম্যাজিক বাংলাদেশ লিমিটেড চলতি সপ্তাহে (১৮ জুন) অবমুক্ত করেছে অ্যাপটির নতুন সংস্করণ (২.৬.৫) । বাংলাদেশের এক ঝাঁক তরুণ সফটওয়্যার নির্মাতাদের তৈরি অ্যাপটি পরীক্ষামূলক ভাবে শিশুদের আনন্দময় শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ও মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসায় দারুণ কাজে দেয় বলে জানিয়েছেন এমকিডো’র চিফ অপারেটিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানিয়েছেন, জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলতেই ৩-১২ বছর বয়সী শিশু ও তাদের বাবা-মায়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে উদ্ভাবনী এই সল্যুশনটি। এর মাধ্যমে বাবা-মা তাদের সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে পারবে। এই প্লাটফর্ম থেকে প্রফেশোনালরাও সহায়তা নিতে পারবেন। একই সাথে ডিজলেক্সিয়া বা এডিএইচডি এর মতো কোনো ধরনের সমস্যায় সন্তান ভুগছে কিনা তা জানার পাশাপাশি এর সমাধানও নিশ্চিত করতে পারবেন।
তিনি আরো জানান, সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে গত ১১ জুন বিকেলে মোম্যাজিক অফিসে গেট ফাউন্ডেশন থেকে ‘গোল কিপারস গ্লোবাল গোল্ড চেঞ্জমেকার্স’ সম্মাননাজয়ী সংগঠন ‘মনের স্কুল’ এমকিডো ব্যবহারে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এবং মনের স্কুলের কো-ফাউন্ডার ফাইরুজ ফাইজা বিথার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন। এসময় মনের স্কুল পরিচালনা পর্ষদ সদস্য রিশান আহমেদ এবং এমকিডোর সদস্য ফারিহা কবীর, সাদিয়া ইসলাম ও আফসানা মিমি উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী, বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে ‘এমকিডো’ অ্যাপটির মাধ্যমে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করবে ‘মনের স্কুল’। তবে যে কেউ চাইলেই এমকিডো প্লাটফর্ম থেকেও অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন।