রাশিয়ার উপগ্রহ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) নভোচারিরা বিপদে পড়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে রাশিয়ার এ পরীক্ষাকে ‘বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানশূন্য’ বলে মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সোমবারের (১৫ নভেম্বর) ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় রাশিয়া নিজেদের একটি উপগ্রহ ধ্বংস করে। এর ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষের কারণে আইএসএসের নভোচারিদের ক্যাপসুলে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা করে একে ‘বেপরোয়া ও দায়িত্বজ্ঞানশূন্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, আজকে রুশ ফেডারেশন বেপরোয়াভাবে একটি উপগ্রহ ধ্বংসের পরীক্ষা চালিয়েছে। তারা নিজেদের একটি উপগ্রহের বিরুদ্ধে উপগ্রহ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই পরীক্ষায় এ পর্যন্ত কক্ষপথে ১৫০০ টুকরা অনুসরণেযোগ্য ধ্বংসাবশেষ এবং লাখো ক্ষুদ্র অবর্জনা উৎপন্ন হয়েছে, এগুলো এখন সব দেশের স্বার্থকেই হুমকির মুখে ফেলেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছে, ওই পরীক্ষায় উৎপন্ন ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর নিম্ন-কক্ষপথে একটি আবর্জনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে আর তা আইএসএসকে বিপদগ্রস্ত করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধ্বংসাবশেষ বছরের পর বছর ধরে মহাকাশে বিপত্তির সৃষ্টি করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরপরই নভোচারিদের মহাকাশ স্টেশনটিতে ভিড়িয়ে রাখা মহাকাশ যানের ক্যাপসুলগুলোতে দুই ঘণ্টার জন্য আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বর্তমানে মহাকাশ ওই স্টেশনটিতে সাত জন নভোচারি আছেন। তাদের চার জন যুক্তরাষ্ট্রের, দুই জন রাশিয়ার ও একজন জার্মানির।