শিগগিরি নিবন্ধনের আওতায় আসছে হ্যান্ডসেট। এজন্য দেশে আমদানিকৃত টেলি-প্রযুক্তি চালিত সরঞ্জাম নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি)। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশে আমাদানিকৃত মোবাইল ফোনের যাবতীয় তথ্য নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ কাজে বিটিআরসি’র সঙ্গী থাকছে বাংলাদেশ মোবাইলফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)।
সূত্রমতে, অবৈধ পথে আমাদানিকৃত ফোন এবং চুরি যাওয়া ফোন যেন বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা না যায়, সে জন্যই ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। সফটওয়্যার ভিত্তিক এই সল্যুশনটি ব্যবহারর করতে এখন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে। ইআইআর পরিচালন সংক্রান্ত নির্দেশনাটিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করবে বিটিআরসি।
এরপরই বিটিআরসি অনুমোদিত পদ্ধতিতে আমদানির বিষয়টি যাচাই করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) তৈরি করা হবে। অতঃপর এই নিবন্ধনের ভিত্তিতে বাজারে থাকা আসল বা নকল ফোন বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সহজেই জানা যাবে। একইসঙ্গে সিমের মতো ফোন এবং ফোন ব্যবহারকারীকেও সহজেই সনাক্ত করা যাবে। পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়্যার্কে প্রবেশাধিকারও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
বিশেষায়িত সফটওয়্যার ভিত্তিক এই রেজিস্টারের মাধ্যমে মোবাইল নেটওয়ার্কে সংযুক্ত ফোনগুলোকে কালো, ধূসর এবং সাদা তালিকাভূক্ত করা যাবে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, এই সল্যুশনটি চালু করতে জানুয়ারির শুরুর দিকে কমিশন বৈঠকে অনুমোদিত ইআইআর ডিরেক্টিভ প্রস্তাব ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই সেবাটি চালু হবে। তবে এই অনুমোদন মূহর্তের ব্যাপার বলে জানা গেছে। সেই হিসেবে চলতি মাসের শেষ দিকেই শুরু হতে পারে সফটওয়্যারের মাধ্যমে আবদানীকৃত মোবাইল ফোন নিবন্ধন এবং অটোমেশনের মাধ্যমে বিক্রিত ফোনগুলোতে সংযোগ চালুর সুবিধা।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিবাংলা-কে জানান, আমার কাছে এখনো ফাইলটি এসে পৌঁছেনি। ফাইলটি এলে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আমি অনুমোদন দিয়ে দেবো। আমি দীর্ঘদিন ধরেই বিটিআরসি-কে দিয়ে চোরাই পথে মোবাইল ফোন আমদানী বন্ধে অভিযান চালিয়ে আসছি। এবার আর অভিযানের প্রয়োজন হবে না। আমরা এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি যা ফোনটিকে সহজেই সনাক্ত করতে পারবে। ফোনটি দেশের না দেশের বাইরে তৈরি কিংবা এটি কি গ্রে মার্কেটের ফোন তা জানা যাবে। অবৈধ ফোন সনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সুবিধা চালু করছি যেন ফোন নিবন্ধনের জন্য বিটিআরসি’র পেছনে গ্রাহককে ঘুরতে না হয়। তারা নিজের ফোন ব্যবহার করেই সব সেবা পাবেন।