ডিজিটাল সেন্টারের যুগপূর্তিকে সামনে রেখে ৬৪টি জেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদেরি নিয়ে প্রথম বারের মতো ধারাবাহিক কর্মশালা করছে এটুআই। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল সেন্টার’ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় কুমিল্লা জেলার ১৯৩ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৭টি পৌরসভার মেয়রগণ অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী জনপ্রতিনিধিগণ ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও টেকসই ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে ঐক্যমত প্রকাশ করেন।
এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক কর্মশালা শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট ‘দি এটুআই জার্নি’ শীর্ষক প্রকাশনা হস্তান্তর করেন।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার বিভাগ) অপর্না বৈধ্য, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ) মো: মোশারেফ হোসেন এবং এটুআই ডিএফএস স্পেশালিস্ট ও হেড অব ডিজিটাল সেন্টার তহুরুল হাসান টুটুল, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট কোঅর্ডিনেটর অশোক কুমার, জিটুপি পেমেন্ট ডিজিটাইজেশন এক্সপার্ট বশিরুল ইসলাম এবং ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট মো: মাসুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ডিজিটাল সেন্টার সম্পর্কে সরকারের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের সমস্যা চিহ্নিতকরণসহ সমাধানেরর পথ খোঁজা হয়।
এসময় এটুআই প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, ২০১০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ডিজিটাল সেন্টার হতে মোট সাড়ে ৬৫ কোটি সেবা প্রদান করা হয়েছে যার মাধ্যমে নাগরিকদের পৌনে ৩ বিলিয়ন সমপরিমান কর্মঘন্টা এবং পৌনে ১০০০ বিলিয়ন টাকা সাশ্রয় হয়েছে। বর্তমানে এখান থেকে মোটামুট ৩০০ এর অধিক সেবা প্রদান করা হয়। নাগরিকদের জীবনমানে ইতিবাচক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিজিটাল সেন্টার ২০১৪ সালে ই-গভর্নমেন্ট ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা আই টি ইউ এর ওয়েসিস পদকে ভূষিত হয়েছে। ফিলিপাইন, ফিজিসহ আফ্রিকার বেশ ক’টি দেশ আমাদের এ মডেল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং অনেকে প্রয়োগও শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল সেন্টারের জন্ম ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সেই ভোলার চরকুকরি মুকরি ইউনিয়ন থেকে উদ্বোধনের মাধ্যমে। বয়স প্রায় একযুগ। এখন সকল ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটিকর্পোরেশন, বিশেষ জনগোষ্ঠীর চাহিদাপূরণে ৬টি স্পেশাল ডিজিটাল সেন্টার, সৌদি আরবে ১৫টি এক্সপেট্রিয়েট ডিজিটাল সেন্টার সহ সব মিলে মিলে সাড়ে ৮ হাজার ৭০৪ টি ডিজিটাল সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার ২০০ উদ্যোক্তা। এই উদ্যোক্তরা হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিাল সন্তান। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের সাথে উদ্যোক্তাদের বন্ধন অবিচ্ছেদ্য।