নিরাপদ ও টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ কৌশল, নির্মাণ উপকরণ এবং নতুন সব প্রযুক্তি নিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী অবকাঠামো বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘৭ম স্যাফকন ২০২২’।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর কুড়িলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি বিবেচনা করে সরকার সারাদেশে বিস্তৃত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। যার ফলস্বরুপ দেশব্যাপী ভোক্তা উপযোগী বাজার ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে এবং এর সুফল পাচ্ছে জনগণ।
তিনি আরও বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) শিল্পের অবদান দিন দিন বাড়ছে। সেজন্য দেশে এখন শিল্পায়ন উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদের প্রয়োজন। সরকার ইতোমধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষার মান উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি শিল্পোদ্যোক্তাদেরও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বাংলাদেশ এখন এশিয়ার সবচেয়ে বিনিয়োগ উপযোগী দেশ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী চীন ও জাপানসহ উন্নত দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়জুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ইঞ্জিনিয়ারের (এএসএইচআরএই-আশারি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট মো. হাসমতুজ্জামান, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট টি এম আজিজুল আকিল ডেভিড, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, ইউনান কমার্শিয়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস ঢাকা এর পরিচালক লি শাও, স্যাভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
দেশের বৃহৎ এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে নিরাপদ ও টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ কৌশল, নির্মাণ উপকরণ এবং নতুন প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সেইফ এইচভিএসিআর ও পানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ‘পাওয়ার-জেন’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীটির সঙ্গে ‘রিনিউঅ্যাবল এনার্জি শো’, ‘ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট শো’ এবং ‘সেফ এইচভিএসিআর’ সংযুক্ত রয়েছে।
প্রদর্শনীর অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে রয়েছে পাওয়ার সেল, স্রেডা, ইডকল, কোটরা, আশারি-বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, গ্রিন সোসাইটি অব ইন্ডিয়া, বিসিসিআই, বিসিএসএ, আইএসএইচআরএই, বিআরএএমএ ও বাংলাদেশ গ্রিন বিল্ডিং একাডেমি।
প্রদর্শনীতে ১৪টি দেশের ১২০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যেখানে ৩২০টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনী চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।