পৃথিবীর কাছাকাছি একটি গ্রহাণু আছে। অবস্থান মঙ্গল ও বৃহস্পতির গ্রহের ঠিক মাঝামাঝি। নাম ‘সাইকে-১৬’ (Psyche 16′)। আর গ্রহাণুটি যেসব উপাদানে তৈরি, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম সোনা। এবার সেখান থেকেই সোনার খোঁজে নেমেছে মহাকাশবিষয়ক মার্কিন প্রতিষ্ঠান নাসা।
২০২২ সালের গ্রীষ্মেই শুরু হবে নতুন এই ‘ডিসকভারি মিশন’। মিশনটি ‘সাইকে-১৬’ গ্রহাণুতে গিয়ে পৌঁছাবে ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি।
গবেষণায় জানা গেছে, ‘সাইকে-১৬’ শুধু সোনার তৈরি নয়। সেখানে রয়েছে প্লাটিনাম, লোহা ও নিকেলের মতো ধাতুও। এসব ধাতুর সম্মিলিত মূল্য ১০ হাজার কোয়াড্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, ওই গ্রহাণুতে এত পরিমাণ সোনা রয়েছে যে পৃথিবীর প্রত্যেক ব্যক্তি কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন। একই সঙ্গে রয়েছে চিন্তার কারণও। যদি ধরে নেওয়া যায় ওই গ্রহাণুকে পৃথিবীতে নামিয়ে আনা গেল; সে ক্ষেত্রে ধস নামবে ৭৫ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের বিশ্ব অর্থনীতিতে। কারণ তখন সোনা বিক্রি হতে পারে পানির দামে।
তবে এই মুহূর্তে গ্রহাণুটি পৃথিবীতে নিয়ে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই নাসার। কেবল গবেষণার জন্যই পাঠানো হবে ‘ডিসকভারি মিশন’।
প্রসঙ্গত, ১৮৫২ সালে এই গ্রহাণুটির আবিস্কার করেন ইতালির জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যানিবেল ডি গ্যাসপারিস (Annibale de Gasparis)।
[প্রিয় পাঠক, আপনিও ডিজি বাংলা’র অংশ হয়ে উঠুন। প্রযুক্তি বিষয়ক খবরা-খবর, মোবাইল-গেম রিভিউ, স্কুল-কলেজ পর্যায়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্ভাবন-গবেষণা, মেলা, ফ্যাশন, লাইফস্ট্যাইল, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভিডিও/ছবিসহ মেইল করুন[email protected] এ ঠিকানায়। আপনার সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরটিও লিখুন। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে। ভালো লেখার জন্য সম্মানি দেয়া হবে।]