চান্দ্রযান (রোবটিক লুনারা ল্যান্ডার) নির্মাতা ৩ প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- টেক্সাক্স ভিত্তিক ইনটিউটাইভ মেশিন, পিটসবার্গের অ্যাসট্রোবটিক এবং অরবিট বিয়োন্ড। চাঁদের মাটিতে বিজ্ঞান ও গবেষণার কাজে নাসার জন্য কার্গো তৈরি করবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান তিনটি প্রথম মিশন শেষ করবে বলে জানিয়েছেন নাসা’র এক কর্মকর্তা। শুক্রবার (৩১ মে) সিএনএন-কে তিনি জানিয়েছেন, চাঁদের অবতলের মানচিত্র তৈরি এবং নেভিগেট করা, চন্দ্রপিঠের তেজষ্ক্রিয়তা মাত্রা নির্ণয়, সেখানকার বৈজ্ঞানিক গবেষণা আবহ এবং চাঁদে মানবীয় কাজের প্রভাব নির্ণয় উপযোগী ডিভাইস থাকবে কার্গোগুলোতে।
গত বছর মার্কিন মহাকাশ সংস্থার কমার্সিয়াল লুনার টেলোড সার্ভিস (সিএলপিএস) প্রকল্পের অধীনে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই কাজের জন্য ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি তহবিল অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিলো।
সেই তহবিল থেকে প্রথম ব্যাচে অ্যাসট্রোবটিক-কে দেয়া হচ্ছে ৭৯.৫ মিলিয়ন ডলার। ইনটিউটাইভ পাচ্ছে ৭৭ মিলিয়ন ডলার। আর অরবিট বিয়ন্ড-কে দেয়া হচ্ছে ৯৭ মিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালে চাঁদে প্রথম অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা নিয়েছে অ্যাসট্রোবটিক ও ইনটিউটাইভ। তবে তার আগেই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বারের মাধ্যমে সেখান নোঙর করতে যাচ্ছে অরবিট বিয়ন্ড।
এক ভিডিও বার্তায় নাসা’র প্রশাসনিক প্রধান জিম ব্রাইডেন স্টেইন বলেন, চাঁদে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সরঞ্জাম পৌঁছে দেয়ার জন্য আজ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগেুলোর গ্রাহক হলো নাসা। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে চন্দ্রবটের সেবা নেওয়া হবে। তারা সেখানে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমাদেরকে সরবরাহ করবে। আশা করা যায়, ২০২৪ সালে চাঁদে মানব বসতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।