স্মার্টফোন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্ত কাটানো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। আমরা এত পরিমান স্মার্টফোন ব্যবহার করি। যার ফলে চার্জ দিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। দূরে কোথায় বেড়াতে গেলে স্মার্টফোনের চার্জের জন্য অবশ্যই পাওয়ার ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পাওয়ার ব্যাংক কিনতে গিয়ে অনেকের পড়তে হয় বিপাকে। বাজারে কম দামে অনেক বেশি মিলিঅ্যাম্পিয়ারের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে দেখা যায় ঠিক মত চার্জ হয় না বা অল্প কিছু দিন ব্যবহার না করতেই নষ্ট হয়ে যায়। এই সকল ঝামেলা যাতে না হয় তাই পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখুন।
কত মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি কিনবেন?
পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় সবার মনে একটা কমন প্রশ্ন থাকে- কত মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি কেনা উচিত। বাজারে বিভিন্ন মডেলের ভিন্ন ক্ষমতার পাওয়ার ব্যাংক রয়েছে। তাই কেনার আগে আপনার ফোন বা ট্যাবের ব্যাটারির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তা কেনা উচিত। এমন পাওয়ার ব্যাংক কেনা উচিত যেন সেটি ব্যবহারে ফোন বা ট্যাব তিন বার ফুল চার্জ দেওয়া যায়। ধরুণ আপনার স্মার্টফোনে রয়েছে ৩ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি। সেক্ষেত্রে আপনার মিনিমাম ১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি কেনা উচিত।
ভালো ব্র্যান্ড দেখে কেনা
বাজারে নানান ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যায়। অনেকগুলোতে অধিক মিলিঅ্যাম্পিয়ারের কথা বলা হলেও সত্যিকার অর্থে সে রকম পারফরমেন্স পাওয়া যায় না। তাই পাওয়ার ব্যাংকটি ভালো মানের না হলে অনেক সময় তা বিপদের কারণ হতে পারে। চার্জিয়ের সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই ভালো ব্র্যান্ড ও ভালো মানের পাওয়ার ব্যাংক যাচাই করে কেনা উচিত।
আকার
মডেল ও ডিভাইস অনুযায়ী বাজারে বিভিন্ন সাইজ ও আকৃতির পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যায়। মূলত এটি যাত্রাকালে অতিরিক্ত পাওয়ার ব্যাকআপ হিসেবে সঙ্গে রাখা হয়। তাই আকারে বড় হলে তা বহন করা কিছুটা ঝামেলার। তাই কেনার সময় সহজে বহনযোগ্য বা পকেটে রাখা যায় এমন কিছুই কেনা উচিত।
ক্যাবল ও ওয়ারেন্টি চেক করা
পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় ওয়ারেন্টি চেক করে তা বুঝে নিতে হবে। কেননা প্রায় ডিভাইসেই কেনার পর সমস্যা দেখা দেয়। তখন যাতে তা বদলে বা সারিয়ে নেওয়া যায় তা বিবেচনায় রাখতে হবে।এছাড়া চার্জ দেওয়ার সবগুলো ক্যাবল পাওয়ার ব্যাংকের বক্সে রয়েছে কিনা তা ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে।
ডিবিটেক/এসিডি