বাংলালিংক ও সামিট টাওয়ারস লিমিটেড (এসটিএল)-এর চুক্তির ভিত্তিতে নির্মিত প্রথম মোবাইল টাওয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত টাওয়ারটি প্রতিষ্ঠান দুইটির চুক্তির আওতায় নির্মিতব্য মোট ২৫৯টি টাওয়ারের মধ্যে একটি।
২০১৮ সালে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) টাওয়ার কোম্পানিগুলির কাছে টেলিকম টাওয়ার লাইসেন্স হস্তান্তর করে। এই লাইসেন্স অনুসারে, কোম্পানিগুলি মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করে সেগুলি অপারেটরদেরকে সার্ভিস ফি-এর বিনিময়ে ব্যবহার করতে দিতে পারবে।
বিটিআরসি-এর চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, “বিটিআরসি সবসময় নতুন ধরনের নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর সম্ভাবনা বিবেচনা করে দেখতে আগ্রহী যাতে টেলিকম অপারেটরগুলি আরও ভালোভাবে গ্রাহকদের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়। টাওয়ারকো নীতিমালা বাস্তবায়ন করে তারা সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।”
বাংলালিংক-এর চিফ টেকনোলজি অফিসার পিয়েরে বউট্রস ওবেইদ বলেন, “টাওয়ারকো নীতিমালার আওতায় প্রথম টাওয়ার চালু করতে পারা বাংলালিংক-এর জন্য বিশেষ এক মাইলফলক। কারণ, এটি আমাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে নতুন এক অধ্যায় শুরু করেছে। আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহক এখন আমাদের ওকলা স্বীকৃত দেশের দ্রুততম নেটওয়ার্কের আওতায় আসতে পারবেন।
সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আরিফ আল ইসলাম বলেন, “টাওয়ারকো নীতিমালার আওতায় অনুমোদিত সার্ভিস লেভেল চুক্তির ভিত্তিতে প্রথম কোম্পানি হিসেবে একটি টেলিকম অপারেটরকে টাওয়ার শেয়ারিং সেবা দিতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। সামিট গ্রুপ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করে আসছে।
সর্বাধুনিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলালিংক।