গুগলের সার্চ ইঞ্জিনটি হচ্ছে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি ব্যবহৃত সার্ভিস। অনেকেই গুগল ছাড়া আর কোনো সার্চ ইঞ্জিন চেনেনই না! গুগল সার্চের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে যদি কিছু ব্যবহারই করতে হয়, তবে গুগলের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে সবথেকে কাছাকাছি যে সার্চ ইঞ্জিনটি আসতে পারে তা হচ্ছে “ডাকডাকগো” (DuckDuckGo)। এই সার্চ ইঞ্জিনটি নিজেকে নিজেই “গুগল-বিরোধী” হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ডাকডাকগো ইন্টারনেট অনুসন্ধান ইঞ্জিন যেটা অনুসন্ধানকারীর ইন্টারনেট গোপনীয়তা এবং ব্যক্তিবিশেষায়িত ফলাফল বর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করে। ডাকডাকগো অন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে নিজেকে স্বকীয় রাখে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে না।
২০০৮ সালের জুনে চালু করা ডাকডাকগো। প্রতিদিন ৩৮.৮ মিলিয়ন এবং ৩১ বিলিয়ন মোট সার্চ রেজাল্ট রয়েছে।
সম্প্রতি, টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসি বলেছিলেন, তিনি ডাকডাকগোতে চলে গেছেন, যদিও ব্র্যান্ডটির সার্চ ইঞ্জিনের বাজারে কেবলমাত্র ০.২৮% মার্কেট শেয়ার রয়েছে, যদিও গুগলের রয়েছে বিশাল পরিমাণ ৮১.৫ % শেয়ার।
ডাকডাকগোর যে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য:
১. গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে কেউ যদি গুগলের বিজ্ঞাপন ক্লিক করে কোন ধরনের ওয়েবসাইটে যেয়ে থাকে তা গুগল আইপি ঠিকানাসহ দিয়ে থাকে। ডাকডাকগোতে, ব্যবহারকারীকে ট্র্যাক করা যায় না এবং আইপি ঠিকানাও ট্র্যাক করা হয় না।
২. গুগলে যা নেই। ডাকডাকগো সাইটগুলিকে একটি এনক্রিপ্টড সংযোগ ব্যবহার করতে বাধ্য করে, যা ব্যবহারকারীকে ডেটা লঙ্ঘন থেকে রক্ষা করে।
৩. ডাকডাকগোতে সার্চের ইতিহাস স্পষ্ট, তথ্যের কোনও চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে গুগল ব্যবহারকারীর অনুসন্ধানের ইতিহাস সংরক্ষণ করে।
৪) স্মার্ট এনক্রিপশন নামে ডাকডাকগোতে একটি ফিচার রয়েছে। এই ফিচার ব্যবহারকারীদের আরো বেশি ব্রাউজিং এ সহায়তা করে। হ্যাকার থেকে এইটি রক্ষা করে।
৫) ডাকডাকগোতে এক পেজে সকল সার্চ দেখাবে। ব্যবহারকারী যখন স্ক্রোল করে নিচে যাবে এমনি ফলাফল আসবে। গুগলে রয়েছে পৃষ্ঠা সিস্টেম। ফলাফল শেষ হওয়ার পরে পরবর্তী পৃষ্ঠায় ক্লিক করতে হয়।