ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে দেশের ১৩টি খাতের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে স্পর্শকাতর তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নের জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আলোচনায় এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মন্ত্রী বলেন, দেশের জ্বালানী খাত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান পদ্ধতি, পাসপোর্ট, ই-টিআইএনসহ সিভিল এভিয়েশনের সকল সিস্টেমে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল ইনফোরমেশন সিস্টেমের উন্নয়ন করা হবে।
ইতিমধ্যেই এই ই-মিউটেশনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূমি ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা বিধান করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
নাগরিক জীবনকে সহজ করতে সরকার কিভাবে ব্লক চেইন ব্যবহার করবে সে বিষয়ে আলোকপাত করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অনলাইন দুনিয়ায় নাগরিক ই-সেবা দিতে গিয়ে তথ্য ফাঁস ও ইনফো ফ্যাক্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এরফলে সাইবার আক্রমণ বাড়ছে। কম্পিউটার কাউন্সিলে ডিজিটাল খতিয়ান পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্পর্শকাতর তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই আমরা ১৩টি খাতের অবকাঠামোগত ত্রুটির ফলে তথ্যের সঙ্কটাপূর্ণ অবস্থা চিহ্নিত করেছি। আমরা এগুলো প্রতিহত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, আইবিএম এর সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ইতিমধ্যেই দাপ্তরিক ফাইলের সত্যতা ও নির্ভযোগ্যতা নিরুপনের (প্রুফ অব কনসেপ্ট ফর ফাইল অ্যাপ্লিকেশন) ডিজিটাল পদ্ধতি তৈরি করেছে। এটি তৈরিতে ৩টি ব্লকচেইন এবং ২টি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি এখন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পলক বলেন, ব্লকচেইন এবং আইওটি খুবই শক্তিশালী ও নিরাপদ একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারে। এ কারণে আমরা এ বিষয়ে দেশী ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করবো। কেননা এই প্রযুক্তিটি আগে আমাদের বুঝতে হবে। তারপরেই আমরা প্রয়োগ করতে পারবো। একইসঙ্গে এই খাতে নেতৃত্বও দিতে সক্ষম হবো।
অনুষ্ঠানে বিকাশ সিইও কামাল কাদির, ই-জেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।