গত বছর জুলাই মাস নাগাদ জার্মানিতে অপো এবং ওয়ানপ্লাসের বিরুদ্ধে পেটেন্ট লঙ্ঘনের জন্য নোকিয়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। তবে উভয় কোম্পানিই জার্মান আদালতের নির্ধারিত শর্তাবলী মেনে চলতে অস্বীকার করার পরে সেদেশে অপো এবং ওয়ানপ্লাস ফোনের বিক্রি বন্ধ করার জন্য জার্মান কোর্ট আদেশ জারি করেছিলো।
জার্মানিতে এই দুই কোম্পানির ডিভাইসের বিক্রি বন্ধ করার পর এবার ভিভোকেও সেই একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে, ভিভো আদালতের কাছ থেকে একটি প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, নোকিয়ার পেটেন্ট করা প্রযুক্তি ব্যবহার করলে জার্মানিতে তাদের স্মার্টফোনের বিক্রি নিষিদ্ধ করা হবে। নোকিয়ার কিছু পেটেন্টের লাইসেন্সিং ফি সংক্রান্ত ব্যর্থ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞাটি জারি করা হয়েছে।
নোকিয়া দাবি করেছে, আদালতের সিদ্ধান্ত ভিভোর দ্বারা তাদের পেটেন্ট লঙ্ঘনের বিষয়টিকে বৈধ বলে প্রমাণ করেছে, যার মধ্যে বিভিন্ন মোবাইল এবং ৫জি প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দুটি কোম্পানির মধ্যে পূর্বে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ভিভো নোকিয়া দ্বারা দাবি করা লাইসেন্সিং ফি দিতে অস্বীকার করেছিলো।
নোকিয়া বলছে, তারা ২০২১ সালের মে মাসে ভিভোর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার আগে আদালতের বাইরে সমস্যাটির নিষ্পত্তি করতে এবং লাইসেন্স বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে ফিনল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানিটি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, উপযুক্ত লাইসেন্সিং ফি প্রদান না করে নোকিয়ার পেটেন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে জার্মানিতে ভিভো স্মার্টফোনের ডিস্ট্রিবিউশন অবৈধ।
এদিকে, ভিভো তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রাথমিক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবার কোর্টে আবেদন করবে। চীনা ব্র্যান্ডটি জোর দিয়ে বলেছে যে, নোকিয়া ন্যায্য শর্তে তার পেটেন্ট লাইসেন্স করেনি।
ডিবিটেক/বিএমটি