ডিভাইস অথবা অ্যাপ্লিকেশনের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডের জন্য কমপক্ষে তিনটি থেকে সর্বাধিক ১৮টি ক্যারেক্টার ব্যবহৃত হয়। তবে এর মধ্যে নূন্যতম ১৬ ক্যারেক্টর পাসওয়ার্ড হিসেবে নিরাপদ বলে মনে করছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
‘গার্টনার’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংখ্যা আর ছোটো ও বড় বর্ণ মিশিয়ে পাসওয়ার্ড বানানো হলে এই দেওয়াল ভাঙতে বেগ পেতে হয় হ্যাকারদের। পাসওয়ার্ড বের করতে সময়টা একটু বেশি লাগে। কিন্তু সেই ‘দেওয়াল’টাও মোটেই অভেদ্য নয়। একটু কায়দা-কসরত করলে এই ‘তালা’ও খুলে ফেলা যায়।
গবেষণা বলছে, ৩ আর ৪ ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড ভেঙে ফেলা যায় সঙ্গে সঙ্গেই। ৫, ৬, ৭ এবং ৮ ক্যারেক্টারের রহস্য ভেদ করতে সময় লাগে যথাক্রমে ৩ সেকেন্ড, ৩ মিনিট, ৩ ঘণ্টা এবং ১০ দিন।
অন্যদিকে ৯ ক্যারেক্টারের জন্য লাগে ১৫৩ দিন আর ১০ ক্যারেক্টারের জন্য সময় লাগে ১ বছর।
একইভাবে ১১ ক্যারেক্টারের জন্য ১০৬ বছর। তবে ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ ক্যারেক্টারের পাসওয়ার্ড ভাঙতে সময়টা একটু বেশিই লাগবে। যথাক্রমে ৬ হাজার বছর, ১০ লাখ ৮ হাজার বছর, ২ কোটি ৫০ লাখ বছর, ১০০ কোটি বছর এবং ৯ হাজার ৭০০ কোটি বছর। আর ১৭ এবং ১৮ ক্যারেক্টারের জন্য লাগে যথাক্রমে ৬ লাখ কোটি বছর আর ৩৭৪ লাখ কোটি বছর।
সব মিলিয়ে পাসওয়ার্ড যাই হোক না কেন তা ১৬ ক্যারেক্টারের বেশি হওয়াটাই ভালো। এক্ষেত্রে ক্যারেক্টার ও সংখ্যার মিশেল হলে উত্তম।