অনলাইনে বসলেই অনেকের সময় জ্ঞান থাকে না। ঘুম বিসর্জন দিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে পড়ে থাকে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের সঙ্গে তৈরি হয় দূরত্ব। শুধু দূরত্বই কেন, জীবনের অনেক মূল্যবান সময় চলে যায় এর পেছনে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ছুটি নিন : ফেইসবুক, ভাইবার, টুইটার, স্কাইপ ইত্যাদির অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য পরিবার-সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে ক্রমাগত। প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য জীবন ১বন্ধন সুদৃঢ় করতে কিছুদিনের জন্য ছুটি নিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে। দীর্ঘদিনের অভ্যাস প্রথমেই পরিত্যাগ করা একটু কষ্টসাধ্য। তবে সেটা অবশ্যই সম্ভব। প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য ছুটি নিন। তারপর ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। তারপর আবার যদি ফেরেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটা যেন দিনের অল্প সময়ের জন্য হয় সেই খেয়াল রাখুন।
বন্ধ রাখুন অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন : আসক্তি কমাতে অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। খুব বেশি প্রয়োজন থাকলে কিছু তালিকা আপডেট করে কেবল তাদের নোটিফিকেশনই চালু রাখুন। যেমন, যদি ফেইসবুকের নোটিফিকেশন বন্ধ করতে চান তাহলে এর নিজস্ব সেটিংসে গিয়ে বন্ধ করুন নোটিফিকেশন। অনেকে ফেইসবুকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে ট্যাগ করে। এটাও বিরক্তিকর। সেটিংসে গিয়ে সেটাও বন্ধ করে দিন চাইলে। এতে করে অনেকটাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাড়তে পারে পারিবারিক বন্ধন।
কিছু সময় স্মার্টফোন নয় : প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো স্মার্টফোন। প্রযুক্তিময় বিশ্বে বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে একটা মুহূর্তের জন্যও আমরা স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকতে পারি না। তবে কিছুটা সময় হলেও স্মার্টফোন ব্যবহার করা বাদ দিন। যেমন, যে সময়টাতে পরিবাবের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করবেন কিংবা সন্তানের সঙ্গে থাকবেন সেই সময় স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকুন।