৫০ বছর পেরোনো বাাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস সবাইকে খুব সহজে জানার সুযোগ করে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। চালু করা হয়েছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভার্চুয়াল অংশ। তাই সশরীর উপস্থিতি ছাড়াই ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে দেখা যায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ওয়েবসাইটে রয়েছে ছয়টি বিভাগ। দ্বিতীয় ধাপেই রয়েছে ভার্চুয়াল ট্যুর নামের ট্যাবটি। ট্যাবটি নির্বাচন করে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা মিলবে তিনটি আলাদা আইকন। প্রতিটি আইকনের আলাদা অপশন রয়েছে।
ভার্চুয়াল ট্যুর ট্যাবের মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ৩ মিনিট ২৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে ঘরে বসেই দেখা যাবে জাদুঘরের সবকিছু। এ ছাড়া ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (ভিআর) মাধ্যমেও দেখার সুযোগ রয়েছে পুরো জাদুঘরটি। জাদুঘরের চারটি আলাদা গ্যালারির জন্য রয়েছে চার রঙের পৃথক আইকন। সেই আইকনগুলোতে ক্লিক করে আলাদাভাবে চারটি গ্যালারি দেখতে পাবেন ভার্চুয়াল দর্শনার্থীরা।
জাদুঘরের মূল সিঁড়ি দিয়ে উঠেই সামনে দেখা যাবে একটি গোল আকৃতির জলাধার যার মাঝখানে আগুনের শিখা জ্বলছে। এরপর গ্যালারি ১-এ দেখা মিলবে ‘আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংগ্রাম’ যেখানে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের মূর্তি, মসলিন কাপড় ও ব্রিটিশ শাসনের বিভিন্ন ইতিহাসের নানা নিদর্শন। পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে আঁকা ছবি ও বর্ণনা।
গ্যালারি ২-এ আছে ‘আমাদের অধিকার, আমদের ত্যাগ’, এ গ্যালারিতে তৎকালীন প্রাধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীসহ আরো অনেক ব্যক্তির টুপিসহ পরিধেয় পোশক আছে। আছে একটি জিপ গাড়িও যা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা ব্যবহার করেছে।
গ্যালারি ৩-এ দেখা মিলবে ‘আমাদের যুদ্ধ, আমাদের মিত্র’। যেখানে রয়েছে ১৯৭১ সালে ব্যবহার করা একটি গাড়ি। আরো রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহার করা একটি রেডিও ট্রান্সমিটার যা ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন রেডিও স্টেশনের খবর শুনে উল্লেখযোগ্য খবরগুলো বাছাই করে তা বাংলাদেশ বেতারে প্রচার করা হতো। এছাড়া রয়েছে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর কিছু ছবি।
গ্যালারি ৪-এ রয়েছে ‘আমাদের জয়, আমাদের মূল্যবোধ’। এখানে নৌ-কমান্ডো শাহজাহান সিদ্দিকীর ব্যবহার করা নৌকা রাখা আছে। আছে তার পরিচয়পত্র এবং পোশাক। বিলোনিয়া নামে একটি জায়গার যুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক মানচিত্র আছে। ৭.১২ এমএম সেমি-অটোমেটিক রাইফেলসহ আরো নানা ধরনের বন্দুক। প্যারাসুটও বাদ নেই। আছে বঙ্গবন্ধুর পাঞ্জাবি ও কোট।
সরাসরি দেখতে চাইলে ওয়েব থেকেই কাটা যাবে ই-টিকেট।