অ্যাপভিত্তিক পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ইকো-ট্যক্সি ‘বাঘ’। সাড়ে তিন বছর ধরে গর্জন দিয়ে অবশেষে এপ্রিলে দেশের রাস্তায় এখন থেকে দাপিয়ে বেড়াবে পরিবেশবান্ধব বাহনটি।
কেননা এরই মধ্যে গাড়িটি বাজারজাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ’র অনুমতি পেয়েছে বাঘ ইকো মোটরস লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পি জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৪২ মাস পর রবিবার (২০ মার্চ) স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো। বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ‘বাঘ’কে সরকার রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। এখন বড় পরিসরে উৎপাদন শুরুর পালা।
ডিজিবাংলাকে তিনি বলেছেন, ‘দেশের রাস্তায় বাঘ-এর চলতে আর বাধা নেই। দেশে এই প্রথম বৈধতা পেলো পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার। আগামী মাসেই ঢাকার রাস্তায় নামবে। বাংলাদেশের মানুষ দেখবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বিশ্বমানের একটি বাহন বানিয়েছে। অচিরেই বৈদ্যুতিক বাস ও ট্রাক রাস্তায় নামাবো।’
‘মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা এই গাড়ি অচিরেই দেশের পাশাপাশি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন সড়কে দাপিয়ে বেড়াবে’ বলেও প্রত্যাশা এই স্বপ্নবাজের। আর এটা যে অলীক স্বপ্ন নয় তা বোঝা গেলো এর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী খবরে। কেননা ‘এই গাড়িতে চার্জের বিদ্যুৎ ব্যয় কমবে। আগে যেখানে প্রতি ইউনিটে খরচ হতো ১৭ টাকা, বাঘ-এ হবে ৭ টাকা’।
‘প্রতি কিলোমিটারে খরচ পড়বে ৪০-৪৫ পয়সা। একবার চার্জে চলবে ১২০ কিলোমিটার। সৌরবিদ্যুতে চলবে আরও ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার। ব্যাটারিতে থাকছে পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি। এছাড়া সার্ভিস ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে দুই বছর। শব্দহীন গাড়িটি প্রথম পক্ষ কর্তৃক বিমাকৃত থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নেই বললেই চলে, বলছিলেন বাপ্পি।
এরই মধ্যে ঢাকার গাজীপুরের কারখানায় পরীক্ষামূলক কিছু ‘বাঘ’ তৈরি হয়েছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটি রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।