করোনার ত্রাসে বিদায় নিলো ২০২১। পশ্চিতে ওমিক্রোনের চোখ রাঙানিতে শুরু হলো খ্রিস্টিয় বর্ষপঞ্জীর ২০২২ সাল। তবে এখন পর্যন্ত অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় বাংলাদেশ। তাপরও রয়েছে শঙ্কা। গণজমায়েতে বর্ষবরণে আরোপ করা হয় কঠোরতা।
তবে সতর্কতার সঙ্গে প্রযুক্তি খাতকে চাঙ্গা রাখতে বছরের শুরুতেই পূর্বের মতো মেলার আয়োজন করছে খাত সংশ্লিষ্টরা। সদ্য শুরু হওয়া জানুয়ারি থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে যাচ্ছে উৎসবের আমেজ।
জানুয়ারির ৬ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আবার বসছে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা। দুই বছর বিরতির পর তিন দিন স্থায়ী হবে এবারের আসরটি। মেকারের আয়োজনে এবারের মেলায় থাকছে ৫জি এক্সপিরিয়েন্স জোন।
এদিকে একই ভ্যেনুতে হবার কথা এবারের মোবাইল কংগ্রেস। আগামী ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি এই সম্মেলন করার কথা থাকলেও দিন-ক্ষণটি শেষ মুহেূর্তে পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নেতৃত্বে এই আয়োজনে অংশীদার থাকছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যমটব।
এছাড়াও মার্চের ১৫ তারিখে হতে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা। ব্যতিক্রমী আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী এই মেলার আয়োজন করছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। মেলায় সবচেয়ে বড় চমক থাকবে ইন্টারনেট অব থিংকস এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ইন্টারনেট ভিত্তিক ডিজিটাল সেবার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি।
আগামী ২ জানুয়ারি মোবাইল ও ট্যাব এক্সেপোর বিস্তারিত জানাবে মেকার। মেলা আয়াজন কমিটির সমন্বয় আবু আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, এবারের মেলা পাওয়ার্ড বাই টেলিটক ফাইভজি। টেকনলোজি পার্টনার হুয়াওয়ে। মেলায় পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে স্যামসাং, অপো, ভিভো, রিয়েলমি, টেকনো ও ডিএক্স, এবং লজিস্টিক পার্টনার ইকুরিয়ার।
আর মোবাইল কংগ্রেসের বিষয়ে অ্যামটব গণমাধ্যম মুখপাত্র আবদুল্লাহ মামুন জানিয়েছেন, দিনটি পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আয়োজনটি পরের মাসেও গড়াতে পারে।
অপরদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা বিষয়ে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক জানিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে টেলিকম খাতের সবাইকে নিয়ে মেলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে একটি রূপ রেখাও তৈরি হয়েছে। তবে নব নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হবে।