অনলাইন ব্যাংকিং, এটিএম বুথ বা পয়েন্ট অব সেলসের (পস) মাধ্যমে ব্যাংকিং করার সুবিধা মিলছে অনেক আগে থেকে। টাকা উত্তোলন ব্যবস্থার পর টাকা জমার জন্য চালু করা হয় ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন (সিডিএম)। গত কয়েক বছরে একই মেশিনে জমা ও উত্তোলন সুবিধার জন্য অনেক ব্যাংক চালু করেছে ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন বা সিআরএম। শাখার পাশাপাশি মোবাইল ফিন্যান্সিয়ালি সার্ভিসেস, এজেন্ট ব্যাংকিং, উপশাখাসহ বিভিন্ন পন্থা আর্থিক সেবায় নতুন মাত্রা এনেছে। এসব উদ্ভাবনী সেবায় ডিজিটাল লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন হিসাবধারীরা। আর এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ডাচ বাংলা, সিটি এবং ইসলামী ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবার কল্যাণে করোনার প্রভাব কমলেও সেপ্টেম্বরে যেকোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ ডিজিটাল লেনদেন হওয়ার তথ্য মিলেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনে। পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে এটিএম, সিআরএম ও পস মেশিনে হয়েছে রেকর্ড লেনদেন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত ২১ মাসে নতুন করে স্থাপিত হয়েছে ১৫৭১টি এটিএম বুথ। বুথের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৪৯৫টি। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসে ডেবিট কার্ডে লেনদেন হয়েছে ২২ হাজার ৫২২ কোটি টাকা। কার্ড দিয়ে এটিএম থেকে উত্তোলন করা হয় ১৮ হাজার ৫৯ কোটি টাকা, যা নতুন রেকর্ড। আর এর আগের ২১ মাসে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬০ লাখ। গত সেপ্টেম্বর শেষে দেশে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ ২৫ হাজার ১৬৪।
একইসময়ে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ। এর মাধ্যমে সেপ্টেম্বরে লেনদেন হয় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা। ওই সময়ে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ লাখ ৩ হাজার ১২৩।
একইভাবে পয়েন্ট অব সেলসের মাধ্যমে ১ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে সেপ্টেম্বরে। ১ বছর ৯মাসের ব্যাবধানে দেশে পিওএসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৮ হাজার ৫২৭। ২০১৯ সাল শেষে পস মেশিনের সংখ্যা ছিল ৫৬ হাজার ১৩টি।
পাশাপাশি টাকা জমা নিতে ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬৮৯টি এবং ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩৪টি। গ্রাহকেরা এখন কম অঙ্কের টাকা জমা দিতে ব্যাংক শাখার চেয়ে যন্ত্রকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ডেবিট কার্ডে ডাচ বাংলা এবং অ্যামেক্সের সেবা দিয়ে ক্রেডিট কার্ড সেবায় সিটি ব্যাংক ও প্রিপেইড কার্ডে শীর্ষে রয়েছে ইসলামি ব্যাংক। এটিম মেশিন বেশি ডাচ বাংলা ব্যাংকের। আর পওএস মেশিন ব্যবহারে সিটি ব্যাংক এবং সিআরএম মেশিন ব্যবহারে সবার চেয়ে এগিয়ে ইসলামি ব্যাংক।