হোয়াটস্যাপ, ইমো বা ভাইবারের মতো কোম্পানির সঙ্গে পেরে না উঠে এবার দেশীয় আইপি টেলিফোনি কোম্পানিগুলোর বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। আইপিটিএসপি নম্বরে কথা বলার প্রযুক্তি সুবিধা থেকে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র কাছে ধর্ণা দিচ্ছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে অ্যাপে কথা বলার সুবিধা অফিস-আদালতে চালু হওয়ায় এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। আইপিটিএসপি সেবার জন্য ৪১ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দেয়ার পর তাদের সংগঠন অ্যামটব আইপিটিএসপ ‘র কথা বলার অ্যাপ সুবিধা নিয়ে আপত্তি তুলেছে।
সূত্রমতে, সম্প্রতি ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিফোন সার্ভিস প্রোভাইডার্স (আইপিটিএসপি) কোম্পানিগুলোকে অ্যাপের মাধ্যমে ভয়েস সেবার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে বিটিআরসির কাছে জোর আপত্তি তুলেছে তারা।
তবে এই আপত্তি কতটা প্রযুক্তিবান্ধব তা তলিয়ে দেখতে আইপিটিএসপি কোম্পানি এবং মোবাইল ফোন অপারেটদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশিন। কমিশন বলেছে, ভোক্তার অধিকার ও সুবিধাকেই এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
এদিকে আইপিটিএসপিগুলো সবাই অ্যাপের মাধ্যমে ভয়েস কল সেবা দিতে শুরু করলে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর আয়ে প্রভাব পড়বে বলে মোবাইল অপারেটররা যে আপত্তি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেননা, তারা ভয়েস সেবার লাইসেন্স নিয়ে ডেটার ব্যবসা করলেও কেউ আপত্তি তুলেনি। তাহলে অপারেটররা কেন প্রযুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাজার বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইবারের মতো অ্যাপগুলোতে শুধু ইন্টারনেটে অ্যাপ হতে অ্যাপে কথা বলা যায়। কিন্তু ইন্টারনেটভিত্তিক টেলিফোন বা আইপি টেলিফোনের অ্যাপে সাধারণ মোবাইল নেটওয়ার্কে বা ল্যান্ডলাইনে কথা বলা যাবে। এ অ্যাপে ইন্টারনেট, সাধারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ল্যান্ডফোন যে কোনো মাধ্যমে কথা বলার সুবিধা রয়েছে। আর এই আইপি ফোন হতে আইপি ফোনে কথা বলতে কোনো খরচ লাগে না।