বহমান সময়ের স্রোতে স্মৃতি হতে চলেছে ২০২০। বছরটি অন্যসব বছর থেকে পুরোটাই আলাদা। অনেকটা বাঁক বদলের। তাই পরিস্থিতি যত বদলাচ্ছে, জীবনযাপনে ততটাই মূখ্য হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি। এর মেরুন্ড হয়েছে ইন্টারনেট। দক্ষতার অনুষঙ্গ হচ্ছে টেকনিক্যাল নলেজ।
২০২১। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আগে তাই একটু সফর করতে চাই বিদায়ী বছরে। দেখতে চাই, আমাদের আগামীর গন্তব্যকে।
বছরজুড়েই পথ দেখিয়েছে প্রযুক্তি
১৮ মার্চ। বৈশ্বিক অতিমারি, কোভিড-১৯ হানায় জীবন যাত্রায় আরোপ করতে হয় লকডাউন। ছেদ পড়ে স্বাভাবিক জীবযাপনে। বাতিল করতে হয় মোড়ক উন্মোচন, ইভেন্ট কিংবা সভা-সমাবেশ। সক্রমণ ঠেকাতে বন্ধ করতে হয় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে জীবন থেমে থাকেনি। অনলাইন, টিভি-রেডিও এমনকি মোবাইল ফোন হয়ে উঠেছে পাঠাশালা। বাস-রেল-লঞ্চ বন্ধ হলে ইন্টারনেট হয়ে ওঠে জীবনযাত্রা সচল রাখার মহাসড়ক। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে ওঠে ডিজিটাল মাধ্যম নির্ভর। আদালতও যুক্ত হয় কম্পিউটার-ইন্টারনেট-সফটওয়্যার।
২০ মার্চ দেশের ইতিহাসে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে পাবলিক, প্রাইভেট, পিপল- মিডিয়ার অংশীদারিত্ব ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপদকালীন সময় মোকাবেলার ঘোষণা আসে। প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সেবা অব্যাহত রাখা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে একটি বিসিপি ও এসওপি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
এরপর থেকে অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রায় পুরোটা জুড়েই আষ্টে-পৃষ্ঠে থেকেছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। ভার্চুয়াল অফিস-ওয়েবিনার হয়ে উঠে জীবনের অন্যতম অনুষজ্ঞ। ভিডিও কল সফটওয়্যার ও অ্যাপ হয়ে ওঠে ভার্চুয়াল অফিস স্পেস। জুম, গুগল মিট, স্ট্রিম ইয়ার্ড হয়ে উঠে নিত্যদিনের সঙ্গী। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চলতে থাকে সভা, সেমিনার ও সংবাদ সম্মেলনসহ সব আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রতিযোগিতাও। সরকারের মন্ত্রীসভার বৈঠকও হয় অনলাইনে। দেশের ওয়েব আকাশ হয়ে ওঠে অ্যাপ মুখী। অ্যাপের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাটতি বাড়ে স্মার্টফোনের। এই সময় স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত স্মার্টফোন হয়ে উঠে জাতীয় শক্তির উৎস। আর এই শক্তিকে আরো বাড়িয়ে দিতে অবৈধ মোবাইল রোধে কঠোর অবস্থানে নামে বিটিআরসি। বাস্তবায়ন ধাপে গড়ায় দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) উদ্যোগ। একইসঙ্গে লকডাউনে সব দিক থেকে যখন অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা, তখন অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সামনের কাতারে চলে আসে টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত।
বছর জুড়েই চিকিৎসায় টেলিমেডিসিন হয়ে ওঠে শেষ ভরসাস্থল। দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর সঙ্গে জোট বেধে সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয় নানা ডিজিটাল সল্যুশন। স্বাস্থ্য সেবায় টোল ফ্রি করা হয় ৩৩৩। এতে যোগ হয়েছে এক্সেটেনশন। চালু করা হয় করোনা.গভ.বিডি। ওয়েব ছাপিয়ে চিকিৎসেবা অ্যাপে যুক্ত হয় করোনা ট্রেসার বিডি। আতঙ্কের ভরসাস্থল হয়ে ওঠে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ।
বিদায়ী বছরে দেশের অ্যাপ বাজারের আকার কয়েক গুণ বেড়ে হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই করছে বলে মত খাত সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, ক্লাসরুম সফটওয়্যার টুলস এর মতো বিভিন্ন খাতের সল্যুশন টুলসের কদর থাকবে তাই আসছে বছরে।
এমসিসি প্রধান নির্বাহী আশ্রাফ আবির বললেন, সকাল-রাত পর্যন্ত আমরা প্রতিদিনই কোনো না কোনো অ্যাপ ব্যবহার করি। আর এই অ্যাপের অনেকগুলোই এখন দেশী অ্যাপ। চাকরি খোঁজা থেকে শুরু করে নতুন নতুন অ্যাপ ভিত্তিক পেশাও আজ গড়ে উঠেছে। অ্যাপের বাজার এখন এটি ডেভলপমেন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি সামগ্রিক পেশাজীবির সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এই বছর দেশের অ্যাপ বাহার হাজার কোটি টাকার বাজারে পা রেখেছে।
সফটওয়্যার উন্নয়ন ও অ্যাপের পাশাপাশি দেশেই শুরু হয় অক্সিজেন ভেন্টিলেটরের মতো লাইফ সেভিং মেডিক্যাল যন্ত্রাংশ উৎপাদনের মিশন। স্থবির হয়ে পড়া বিশ্বে নিজেদের সক্ষমতা গড়ে তুলতে পাওয়ার এয়ার পিউরিফায়ার রেসপিরেটর, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ইউভি ডিসইনফেকট্যান্ট, সেফটি গগলস, প্রটেকটিভ শিল্ড, রেসপিরেটরি মাস্ক তৈরিতে মনোনিবেশ করেন দেশের উদ্ভাবক-উদ্যোক্তারা। এ ধরণের উদ্ভাবন ও গবেষণায় টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সঙ্গে একাডেমিয়া এবং শিক্ষার্থীদের সংযোগ বেড়েছে। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের ভার্চুয়াল নানা উদ্যোগে নতুন গতি পেয়েঠে দেশের বিজ্ঞান খাত। অভিজ্ঞজনদের মতে, টেলিকম ও প্রযুক্তি খাতের সঙ্গে বিজ্ঞানের গতি যদি সমান্তরাল ভাবে যুক্ত হয় তবে নতুন বছরটি মেধা ভিত্তিক বাংলাদেশ সম্ভবনাকেও সম্ভাবনায় রূপান্তরিত করবে। তবে এজন্য এই খাতে সরকারের নগদ প্রণোদনা এবং দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় নেতারা।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় বছরের প্রথম থেকেই প্রযুক্তি ব্যবসায় মন্দাভাব ছিলো। কিন্তু এই সময়ে সব ক্ষেত্রেই কম-বেশি প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে। যেহেতু এখন অনেক বেশি মানুষ আইসিটি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, সেজন্য সামনে অনেক নতুন নতুন সযোগ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। আনুষঙ্গিক অনেক টুলসের প্রয়োজন হবে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে আমাদের এখন প্রয়োজন হবে দক্ষতা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন।
বছর জুড়েই প্রাণভোমরা ইন্টারনেট
করোনার লকডাউন সময়ে ব্যবসায়-বাণিজ্য চালিয়ে নিয়েছে ই-কমার্স খাত। সঙ্গত কারণেই এই খাতটি পেয়েছে নতুন গতি। ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ, ই-কমার্সে কেনাকাটা বেড়েছে ৫০ শতাংশ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ৫০ লাখ। আর এ সব কিছুর ব্যাকবোন ছিলো ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্কের শক্তিতেই ঢাকা থেকে পুরো টিম নিয়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার আহমদপুর গ্রামে শতভাগ রপ্তানীমুখী সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সাহস দেখাতে পেরেছে অ্যাপবাজার। অন্যদিকে করোনার লকডাউনে কৃষকের ফসল ঢাকায় আড়ৎদারদের কাছে পৌঁছে দেয়ার মিশনে নামে ডাক বিভাগ। চার্জ এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে এনে মোবাইল ফাইন্যান্সিংয়ে নতুন মাত্রা যোগ করে নগদ।
করোনার প্রকোপ মোকাবেলায় ইন্টারনেট অব থিংকস যাত্রায় প্রবেশ করে বাংলাদেশ। ডেটা বিশ্লেষণের কদর বাড়ার পাশাপশি ডেটার ব্যবহারও বারে বহুমাত্রিক ভাবে। জরুরী সেবার স্বীকৃতি পায় ইন্টারনেট সেবা। মোবাইলে কথা বলার চেয়ে অ্যাপে আলাপ বেড়ে যায়। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট হয়ে ওঠে প্রদীপের তেলের মতো। গত নয় মাসে ইন্টারনেট সংযোগ বাড়ে ১ কোটি ১১ লাখ ৩৩ হাজার। আর বর্তমানে ব্রডব্যান্ডে দেশে সাড়ে ৯’শ হতে ১ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। অন্যদিকে মোবাইল অপারেটরগুলোর নেটওয়ার্কে সব মিলে ব্যবহৃত হচ্ছে ৯’শ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। তরঙ্গ ঘাটতিতে পড়ে মোবাইল অপারেটররা। সামগ্রিকভাবে ব্যান্ডউইথ চাহিদা অনেকটাই জ্যামিতিক হারে বাড়তে শুরু করে। কেননা দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পুরোটাই নির্ভরশীল হয়ে পগে এই ইন্টারনেটের ওপর। বছর শেষে সেই ব্যান্ডউইথের ব্যবহার গত ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০০ জিবিপিএসে। ফলে ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিনেই তৃতীয় সাবমেরিন প্রকল্পে অনুমোদন দেয় সরকার। কেননা, এরই মধ্যে সৌদি আরব, ভুটান ও নেপাল বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০১৬ সালের শেষ দিকেও বাংলাদেশ ৩০০ জিবিপিএসের ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতো। বর্তমানে ১৬০০ জিবিপিএসের ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের দুটি সাবমেরিন কেবলের ২৬০০ জিবিপিএসের ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা রয়েছে। তৃতীয় ক্যাবলটি যুক্ত হলে এরসঙ্গে আরও ৭২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা যুক্ত হবে। আর ভবিষ্যত প্রয়োজন মেটাতে সরকার হওর-দ্বীপসহ পুরো দেশেই ইন্টারনেটের সংযোগ বিস্তারে, অবকাঠামো উন্নয়নে পিছিয়ে নেই। করোনায় তার কিছুটা হলেও প্রমাণ মিলেছে। আমি বরাবরই বলে এসেছি, ইন্টারনেট এখন শ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই অতি প্রয়োজন। ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানভাণ্ডার। সেজন্যই শিশুদের ইন্টারনেটে আসতে বলছি। আর তাদের জন্য ভালো কনটেন্ট তৈরির ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি।
তবে ইন্টারনেট এর প্রয়োজন নিয়ে কারোই দ্বিমত না থাকলেও বছরের অক্টোবরের মাঝাঝাঝি সময়ে ঢাকায় ঝুলন্ত ক্যাবল কাটায় সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন হয়। সদস্যদের চাপে আইএসপিএবি কঠোর আন্দোলনের হুমকী দিলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের হস্তক্ষেপে সেই আন্দোলন একটি সমাধানের পথে এগোতে থাকে। তবে নতুন বছরে এই সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান না হলে উৎপাদনশীল ইন্টারনেট সেবা হিসেবে বিবেচিত ব্রডব্যান্ড খাতের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সামগ্রিক ডিজিটাল উন্নয়নই হুমকীতে পড়ার শঙ্কা এখনো উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এদিকে ফেসবুক-ইউটিউব ছাপিয়ে বিনোদনের নতুন ঠিকানা হয়ে উঠছে ওয়েব সিরিজ। মাঠের ক্রিকেট-ফুটবলের পর পাবজির মতো কমিউনিটি গেমের পসার যেমন বেড়েছে তেমনি, স্কুল বন্ধ থাকায় নিজের দক্ষতা বাড়াতে প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়াতেও মনযোগী হয়ে উঠেছেন অগ্রসর তরুণরা। চাকরি পেছনে না খুঁজে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঝুঁকছেন গ্রামের শিক্ষার্থীরাও। তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে ৬ লাখ ৫০ হাজার নিবন্ধনকৃত ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তারা বছরে ১৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করছেন। তবে অন্যদিকে এর বিপরীত চিত্রও রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে বছর জুড়েই চলেছে নানা ‘গুজব’ কেন্দ্রিক সহিংসতা। আবার কয়েক দফা ব্যাংকগুলোতে চোরা গুপ্ত ‘হামলা’র প্রচেষ্টাও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে নতুন এক সাইবার যুদ্ধের রণভেরীও লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় দেশের তরুণদের নিয়েই এই যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, আমরা অতীতেও ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করতে পেরেছে। নিজেরাই পদ্মা সেতু তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। প্রযুক্তির কল্যাণে দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের বিভিন্ন সার্ভিস বাড়ছে। এখন সরকারের ন্যাশনাল পোর্টালে ৪৩ হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে। এগুলো ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মাইগভ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে ৬৪০টিরও বেশি সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। কোভিড মহামারিতে সবকিছু বন্ধ থাকার পরেও ৮ মাসে ১০ লাখের বেশি ই-নথি সম্পন্ন হয়েছে। সব কাজই চলছে ডিজিটাল ভাবে। ফলে ষড়যন্ত্রকারী প্রতিক্রিয়াশীলরা এখন বসে নেই। গুজব সহিংসতায় নেমেছে। তাদে মোকাবেলায় তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করেই প্রতিহত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমরা ‘দুর্বার’’ প্লাটফর্ম তৈরি করেছি। ফেসবুকের সঙ্গে উই থিংক ডিজিটাল কার্যক্রমও চালু করেছি।
পলক আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বে সব নাগরিক ও রাষ্ট্রের তথ্য ও অর্থের নিরাপত্তা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের অধীন সাইবার ইন্সিডেন্স রেস্পন্স টিম (সিআইআরটি) গঠন করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ডেটা সাইনটিস্ট তৈরির জন্যও আইসিটি বিভাগ কাজ করছে।
ইমদাদুল হক – নির্বাহী সম্পাদক, ডিজিবাংলা