দেশে এখন হোম কোয়ারেন্টাইন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট সেবামান অক্ষুন্ন রেখে ‘টেলি মেডিসিন’, ‘হোম অফিস’, ‘অনলাইন স্কুল’, ‘অনলাইনে কেনাকাটা’ সর্বোপরি নাগরিকদের ঘরে রাখতে প্রয়োজনীয় নিরবিচ্ছিন্ন সেবা অব্যাহত রেখেছে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।
কিন্তু ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা’ এবং ’ই-কমার্স’ সুস্পষ্টভাবে ‘জরুরী সেবা’র তালিকায় উল্লেখ না থাকার পরও সেবা অব্যাহত রাখা এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
আপদকালীন সময়েও এই সময়ের মৌলিক ও জরুরী-সেবাকে চাপমুক্তভাবে অব্যাহত রাখতে সরকারের নজর দাবি করেছেন তারা। গ্রাহক পর্যায়ে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্টারনেট সেবা নিচ্ছেন তাদের সেবামান ধরে রাখার পাশাপাশি তার পরিধি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এরমধ্যে ওভারহেড ক্যাবলগুলোর সুরক্ষা, গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দিতে পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ, ডেলিভারি এবং লাইন ও সার্পোট ম্যানদেরজন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা কিট সরবরাহ, ব্যান্ডউইথ বাড়ানো, সুদমুক্ত ব্যাংক ঋণসুবিধা চালুসহ পুঁজির তারল্য সঙ্কট মোকাবেলায় সহায়তা চেয়েছে খাত সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আইসিসি কমিউনিকেশনস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন,
এই সঙ্কটকালীন সময়ে ইন্টারনেট সেবাকে অব্যহত রাখতে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরকারি সহায়তা জরুরী হয়ে পড়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সরকার ১০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করতে পারে। যেখান থেকে নেটওয়ার্ক কাভারেজের ওপর ভিত্তি করে হলেও অন্তত আগামী ৩ মাস যেন সরকার আমাদের সহায়তা করতে পারে। এটা না করলে আমাদের জন্য এই সেবা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
এই ইন্টারনেট ব্যবসায়ীর কথার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক বলেন,
এখন আমাদের অনেকেই গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে করপোরেট গ্রাহকেদের কাছ থেকে। ব্যান্ডইউথ নিশ্চিত করতে আইআইজি-কে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। আবার নিজেদের উদ্যোগেই কর্মীদের নিরাপত্তা দিয়ে কাজে নিয়োজিত রাখতে হচ্ছে। খরচ বাড়ছে, কাজও বাড়ছে। একটা কঠীন অবস্থার মধ্যে রয়েছি।
অপরদিকে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন,
ই-কমার্সকে জরুরি সেবা হিসাবে বিবেচনা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং মেডিসিন সরবরাহ করার জন্য ই-কমার্স কোম্পানি, ডেলিভারি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ পোস্ট অফিস সার্বক্ষণিক খোলা রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ করছি।