সদ্য শুরু হওয়া বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে হতে পারে ৫জি তরঙ্গ নিলাম। বিশ্বব্যাপী টেলিযোগাযোগ শিল্পে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ৫জি বা পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক চালুতে বিশ্বের প্রথম ২০ দেশের তালিকায় থাকতে এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সূত্রমতে, এ বছরের মধ্যেই ৫জি চালুর সকল প্রস্তুতি শেষ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি।
সেই সূত্র ধরেই আগামী মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’র মূল আকর্ষণই থাকছে ৫জি নিয়ে। মেলায় ফাইভজি প্রযুক্তিসহ এর ব্যবহার নিয়ে লাইভ দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন এ বছরের মধ্যেই ফাইভজির সব কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করবে তার মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫জি চালু করা। তবে আমরা চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা পরের বছর জানুয়ারিতে চালু করার সর্বাত্মক চেষ্ট করব।
দৃঢ়তার সঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আশা করি, আমরা ফাইভজি চালু করা বিশ্বের প্রথম ২০ দেশের তালিকায় থাকতে পারবো। এ জন্য প্রাথমিকভাবে আমাদের যে গাইডলাইন দরকার, সেটি ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের ইচ্ছা জুনের মধ্যে ৫জি গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হবে। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তরঙ্গ নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করার ইচ্ছা আছে। ফাইভজির স্পেক্ট্রাম বরাদ্দ দেওয়া হলে ২০২০ সালের মধ্যেই ফাইভজি পরীক্ষামূলক চালু করব।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ৫জি কেবল কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য নয়। তাই এর সঙ্গে দেশের মানুষ ও শিল্পকে সংশ্লিষ্ট করতে কাজ করছে সরকার।
বরাবরের মতো ‘ট্রেন মিস’ না করার প্রত্যয় নিয়েই ৫জি নিয়ে সরকার সবিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।