নিয়মিত ভোট না হওয়ার সংস্কৃতিতেই কি থিতু হতে চাইছে আইএসপিএবি? তবে কেন মাত্র ১১৪ জন ভোটারে একটি সংগঠনের ভোট নিয়ে চলছে এমন তুঘলোকি কাণ্ড। নিজেদের ডোমেইন ‘দাপ্তরিক ওয়েবসাইট’-এ ভোটের তথ্য না দিয়ে ফেসবুকে চলছে মাতামাতি!
এদিকে শেষ মুহূর্তে একটি ‘ইউটিউব আড্ডা’ এবং ‘ফেসবুক পোস্ট’ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ফের ভোট নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শেষতক আবারো ভোট স্থগিত হয় কিনা সেই উদ্বেগ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে যে কোনো মূল্যে এবারের ভোটে সংগঠনের ভোট সংস্কৃতির দৈন্যদশা ঘুচতে সোচ্চার হয়েছেন তারা।
জানাগেছে, প্রথমবার তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোটে বাধা সৃষ্টি করতে তৎপর হয়ে উঠেছে একটি মহল।ভোটার তালিকা ইস্যুতে গত ৪ জুলাই ভোট স্থগিত করে কমিটির মেয়াদ প্রলম্বিত করার অভিযোগ ওঠে। সেটাও কাজে না লাগায় এবার নতুন বরশি ব্যবহৃত হচ্ছে এই নির্বাচনে। প্রোপাগাণ্ডাও ছড়ানো হচ্ছে অনলাইনে। ভোটের দুদিন আগেও থেমে নেই পদ-পদবী’র অবৈধ ব্যবহার। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার এমন মানসিকতায় লজ্জা প্রকাশ করেছেন সাবেক নেতারাও।
তারপরও চলছে নির্বাচন আচরণ ভঙ্গের মহৎসব। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এমনই একটি ফেসবুক পোস্ট ঘুরছে ফেসবুকের টাইম লাইনে। এতে বলা হয়েছে- আজ ২৪ অক্টোবর সকাল ১০ ঘটিকায় মাননীয় চেয়ারম্যান, এনবিআর এবং আইএসপিএবি -র বর্তামান ইসি কমিটির ফলপ্রসূ আলোচননা। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই প্রতিটি লেয়ারে ৫% ভ্যাট আরোপিত হতে যাচ্ছে। এরপর একটি নির্দিষ্ট প্যানেলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এই পোস্টটি আচরণবিধি ভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে। একটি ভোটে অংশ গ্রহণের পর সাংগঠনিক কোনো পরিচয় ব্যবহারের বিষয়টিও এখন সামনে চলে এসেছে। সংগঠনের সচিবেরে পক্ষ থেকে মিডিয়ায় ভোটের প্রেস রিলিজ পাঠানো, নির্বাচন কমিশন ও ভোটের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ না করাকে সংগঠনটির সাংগঠনিক কাঠামোর দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের স্বার্থে নিজেদের নাম প্রকাশ না করে বেশ কয়েকজন ভোটার ও সাবেক নেতারা বলছেন, ভ্যাটের বিষয়টি দীর্ঘ তিন মাস ছিলো একেবারে অন্ধকারে। তফসিল প্রকাশের পর আসে আলোচনার টেবিলে। ভোটের ঠিক দুই দিন আগে এমন একটি পোস্ট ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে যথেষ্ট। তবে নেতৃত্বের দায়িত্বহীনতা ও দুর্বলতাও প্রকাশ করেছে এই ধরনের ঘটনা। এটাই হচ্ছে ব্যালটের জোর। যখনই ব্যালটের প্রশ্ন এসেছে তখন কিন্তু তড়িঘড়ি করে বৈঠক করতে বাধ্য হয়েছে। আর এটাই নেতৃত্ব আকড়ে থাকার প্রবণতা।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট ৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে এনটিটিএন (ব্যান্ডউইথ পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য ও সেবা বিক্রিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। যদিও এ বছরের ১৯ জানুয়ারি এনবিআর ইন্টারনেটের সব ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারারণ করে এসআরও জারি করে। কিন্তু বাজেটে শুধু ইন্টারনেটে ভ্যাট নির্ধারণ করা হয় ৫ শতাংশ এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য শাখায় ১৫ শতাংশ করা হয়। ফলে ইন্টারনেট সেবা খাতে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) নিয়ে জটিলতা কাটেনি। আর এই সমস্যার সমাধান না হলে ইন্টারনেট খরচ ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়তে পারে।