মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রায় ২০ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের বাজারে ১০ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমিয়েছে টেসলা। ফলে গাড়ির মডেল ভেদে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রায় সাত হাজার ডলার এবং যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার সাশ্রয় হবে ক্রেতাদের। এমন পরিস্থিতিতে দামের সাশ্রয়ের চেয়ে চলন্ত অবস্থায় গাড়ির প্রস্থ এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার প্রযুক্তি নিয়ে বাজারে আসতে চাইছে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান সিটি ট্র্যান্সফরমার। প্যারিসে অনুষ্ঠিত জমজমাট মোটর শোতে তাদের নির্মিত চার চাকার ছোট্ট এই গাড়িটি এরই মধ্যে জিতে নিয়েছে ‘বিশ্বের প্রথম ফোল্ডিং কার’ এর শিরোপা।
নতুন প্রযুক্তির এমন অভিনব গাড়ির পক্ষে নির্মাতারা যেসব যুক্তি দিয়েছেন তা হলো, উন্নত দেশগুলোতে চালকেরা পার্কিংয়ের জায়গা খুঁজতে গিয়ে বছরে গড়ে ১১ দিন তাদের ক্ষুদ্র জীবন থেকে বিসর্জন দেন। নগরগুলোর অর্ধেক জমি দখল করে আছে নানা ধরনের ও আকৃতির অন্যান্য গাড়ি। স্থান সঙ্কুলানে তাই নতুন গাড়ি হবে আকর্ষণীয়।
অপ্রসস্ত রাস্তায় চলতে পারবে অনায়াসে। অসহনীয় জটে চিপাচাপা রাস্তা দিয়েও যানজটের মাইনকার চিপা থেকে মিলবে স্বস্তি। নির্মাতারা বলেছেন, ১০০ সেন্টিমিটার প্রশস্ত জায়গায় চারটি সিটি ট্রান্সফরমার রাখা যাবে। তা ছাড়া এ গাড়িটি কম পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ করবে। পরিবেশবান্ধব, অর্থ, সময় সাশ্রয়ী এবং পার্কিংয়ের ঝামেলামুক্ত এই গাড়ির জন্য ইউরোপের বাজারে গুনতে হবে ভ্যাটসহ প্রায় ১৬ হাজার ইউরো। গাড়িটির ব্যাটারি চার্জ হতে সময় নেবে ১৫ মিনিট।
একবার চার্জ দিলে চালু থাকবে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা, ঘুরে আসা যাবে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বা ১২৪ মাইল। সামনে ও পেছনে দুই আসনের এ গাড়িটির ব্যাটারি ছাড়া ওজন ৪৫০ কেজি। উচ্চতা ৬০ ইঞ্চি, লম্বায় ৯২ ইঞ্চি এবং চওড়ায় ৫৭ ইঞ্চি। প্রয়োজনে স্টিয়ারিং হুইলে বসানো বোতামটি টিপে মাত্র ৫ সেকেন্ডে প্রশস্ত ১০০ সেন্টিমিটার বা ৩৯ ইঞ্চিতে নামিয়ে আনা যাবে। এতে গাড়ির আসন, প্যাডেল ইত্যাদির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না বা সংকুচিত হবে না মোটেই। শুধু সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ৪৫ কিলোমিটারে নামিয়ে আনতে হবে। ভারসাম্য রক্ষার জন্য গতি কম করার এ পরামর্শ দিচ্ছেন নির্মাতারা।