মহল্লার চিকা মারা কিংবা দৈনিক পত্রিকায় ‘পড়াইতে চাই’ বিজ্ঞাপনের দিন ফুরিয়ে এসছে অনলাইনে অনলাইনে টিউশন খোঁজার প্ল্যাটফর্ম। একাদশ পেরিয়ে দ্বাদশ বর্ষে পড়েছে এমনই একটি প্লাটফর্ম কেয়ারটিউটরস। রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে নিজস্ব অফিসে গত ১৯ অক্টোবর রাতে উদযাপন করা হয় প্রতিষ্ঠানটির ১১তম বর্ষপূর্তি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কেয়ারটিউটরসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মাসুদ পারভেজ রাজু জানান, একটি পুরোনো ল্যাপটপ, পুরোনো মোবাইল ফোন আর অল্প কিছু নগদ অর্থ নিয়ে শুরু করলেও সবার দোয়া এবং শুভ কামনায় ধাপে ধাপে সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে চলেছে কেয়ারটিউটরস। কাজের পরিধি এবং লোকবল বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন অফিস নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকাসহ দেশের ১২টি শহরে ১৩টি ক্যাটাগরির টিউশন নিয়ে চলছে কেয়ার টিউটরস’র বর্তমান কার্যক্রম। বর্তমানে কেয়ারটিউটরসের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত রয়েছেন তিন লাখেরও বেশি টিউশন প্রত্যাশী বা টিউটর। এর পাশাপাশি ৯০ হাজারের ওপরে রয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থী। এ পর্যন্ত কেয়ারটিউটরস’র অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে এক লাখেরও বেশিবার।
জানা গেছে, করোনার সময় বেশিরভাগ শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো। আর অফলাইনে করোনাভীতির কারণে তুলনামূলক কম উপস্থিতি ছিল। করোনার সময় শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়তে চাইলেও বর্তমানে অভিভাবক ও শিক্ষার্থী উভয়ই চান টিউটর সরাসরি পড়াক। অনলাইনে পড়ালেখার জন্য জুম এবং গুগল মিট প্ল্যাটফর্মের টিউটর এবং শিক্ষার্থী উভয়ই অভ্যস্ত।
অনডিমান্ড কোনও টিচার দেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ জানান, কেউ চাইলে অবশ্যই অনডিমান্ড টিউটর নিতে পারবেন এই প্ল্যাটফর্ম থেকে। একাডেমিক বিষয় ছাড়াও এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আরবি, ড্রয়িং, প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ভাষা শিক্ষা এবং পার্সোনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট-সহ মোট ১৩ ক্যাটেগরিতে টিউটর খুঁজে নিতে পারবেন।