নতুন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার বিষয়টি ‘গুরুত্ব সহকারে চিন্তাভাবনা’ করছেন টেসলার প্রধান কার্যনির্বাহী ইলন মাস্ক। শনিবার (২৬ মার্চ) টুইটারে এ খবর জানান টেসলা প্রধান।
রিটুইটে মাস্ক ওপেন-সোর্স অ্যালগরিদম দিয়ে গঠিত এমন কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বানানোর কথা ভাবছেন কিনা এমন বিষয় জানতে চায় তার অনুসারীরা। জবাবে ওই প্লাটফর্মেমানুষের বাকস্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং খুবই সীমিত প্রোপাগান্ডা থাকবে বলে উত্তর দেন শত কোটিপতি।
টুইটারের একনিষ্ঠ ব্যবহারকারী বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি মাস্ক বরাবরই বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং তাদের নীতির সমালোচনা করে এসেছেন। তিনি বলেন, ব্যবহারকারীদের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি গণতন্ত্রের অবমূল্যায়ন করছে।
এ নিয়ে টুইটার বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারছে কিনা জানতে চেয়ে মতামতের পোল খুলেছিলেন মাস্ক। সেখানে ‘না’ ভোট ৭০ শতাংশেরও বেশি ব্যবহারকারী। এর পরপরই শনিবার নতুন টুইট করেন স্পেসএক্স এর প্রতিষ্ঠাতা।
শুক্রবার মাস্ক বলেন, “এই পোলের ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই খুব সাবধানে ভোট দিন।”
তবে মাস্ক যদি সত্যিই কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন, তাহলে তাকে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে প্রতিযোগিতার দৌড়ে নামতে হবে। এই মুহূর্তে তারাই নিজেদেরকে বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন বলে দাবি করছে। তাছাড়া, যেসব ব্যবহারকারী মনে করেন, টুইটার, মেটা’র প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক ও অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন গুগলের ইউটিউব-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে তাদের মতামত দমন করা হচ্ছে; তাদেরকে আবারও ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছে তারা।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’, টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী ‘গেটআরআর’ ও ‘পার্লার’ এবং ভিডিও সাইট ‘রাম্বল’; জনপ্রিয়তার দিক থেকে কোনোটিই গতানুগতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর ধারেকাছেও আসতে পারেনি।