সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল চীনের উহান শহরে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ফেসবুক ও টুইটারে #PrayforWuhan হ্যাশট্যাগ দিয়ে এই আকুতি পেশ করছেন তারা। তাদের আরজিতে সাড়া দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চালু করেছে হটলাইন নম্বর।
শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তা না হরে হটলাইন নম্বরের (https://www.bdembassybeijing.org/contact-us/) মাধ্যমে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জানাগেছে, গত দুদিন ধরে সেখানে আটকে পড়েছেন অন্তত ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। এদের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, উহানের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মজুতকৃত খাবারও ফুরিয়ে আসছে। ফলে অচিরেই তারা খাবারের সংকটে পড়বেন।
ফেসবুকে হুবেই ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ সৌরভ জানিয়েছেন, ভাইরাসটি যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য উহানের আশেপাশের আরও ১০টি শহরেও একইভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং রাকিবুল তূর্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাহায্য চেয়ে পোস্ট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চললেও তাকে ২৩ জানুয়ারি থেকে হোস্টেলে বন্দিজীবন কাটাতে হচ্ছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো অন্তত আরও ১৪০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটকে পড়েছেন। কিন্তু, বাংলাদেশি দূতাবাস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউই এখন পর্যন্ত তাদেরকে উদ্ধারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
প্রসঙ্গত, উহান শহরে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করেন। শহরের অধিবাসীদের শহর না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ভাইরাসটি যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য উহান শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থাও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে সব যাত্রীবাহী বিমান বাতিল করা হয়েছে। শহরের বাইরে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলো চেকপয়েন্টের মাধ্যমে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।