দেশের আর্থিক লেনদেনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনায় এ বছর সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেস্ট ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অব দ্য ইয়ার পেয়েছে বিকাশ লিমিটেড। খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবসায়িক বৈচিত্র্য ও রপ্তানিতে অবদান রাখায় এন্টারপ্রাইজ অব দ্য ইয়ার পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। আর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের জন্য বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড হয়েছেন দেশের শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার।
দেশের অর্থনীতিতে অনুকরণীয় অবদানের জন্য এই তিনজন পেলেন ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা।
এছাড়াও অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আয়মান সাদিক এবং শিখো সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও শাহির চৌধুরীকে দেয়া হয়েছে ‘যুব আইকন’ সম্মাননা।
শুক্রবার রাতে ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে পুরস্কারের ২০তম সংস্করণে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বিকাশ লিমিটেডের সিইও কামাল কাদির, ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী কোম্পানির পক্ষে পদক গ্রহণ করেন।
এসময় ডিএইচএল এক্সপ্রেসের কমার্শিয়াল সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ডিএইচএল এক্সপ্রেস ইন্ডিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার আর এস সুব্রামানিয়ান, ডিএইচএল ওয়ার্ল্ডওয়াইড এক্সপ্রেস (বিডি) প্রাইভেট লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার মোঃ মিয়ারুল হক এবং ইংরেজি দৈনিক দ্যা ডেইলি স্টার সম্পাদক মাফুজ আনাম উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়িক ভ্রাতৃত্বকে অনুপ্রাণিত ও উৎকর্ষ সাধনে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছরই দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড। বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড বর্তমানে দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননার মধ্যে অন্যতম বলে বিবেচিত হয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য কার্যত ১৯তম সংস্করণের বিজয়ীদের পুরস্কৃত করতে না পারায় এই ইভেন্টেই বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। এরা হলেন- ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির (বিজনেস পারসন অফ দ্য ইয়ার); বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী (ব্যবসায় অসামান্য নারী) এবং বিজনেস এন্টারপ্রাইজ অফ দ্য ইয়ার হিসেবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান); এবং স্নোটেক্স লিমিটেড। ডাচ বাংলার হয়ে ডিবিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোঃ শিরিন এবং স্নোটেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম খালেদ ট্রফি গ্রহণ করেন।
এবারের বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডের প্রতিপাদ্য ছিল “সমৃদ্ধির সেতু – সীমানা ছাড়িয়ে সংযোগ”। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন খ্যাতিমান কোরিওগ্রাফার ও টেলিভিশন উপস্থাপক আজরা মাহমুদ।