ভোট প্রদান প্রক্রিয়া আরো দ্রুত করতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি থেকে ক্যানসেল (লাল বোতাম) ও কনফার্ম (সবুজ বোতাম) বাটন বাদ দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ব্যালট পেপারে ভোটদান প্রক্রিয়ার হুবহু সুবিধা রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। তবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, অনেক জায়গায় ইভিএমে ভোট দিতে সময় লাগার বিষয় খতিয়ে দেখেছি। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ইভিএম থেকে দুটি বাটন বাদ দেওয়ার কথা ভাবছি। দুটি বোতামের একটি হলো- ক্যানসেল বাটন। সাধারণত কেউ যদি ভুল করে অন্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ফেলেন, তা সংশোধনের জন্য এ ক্যানসেল বাটন (লাল বোতাম) ছিল। বাদ দেওয়া অন্য বোতামটি হলো- কনফার্ম বাটন (সবুজ বোতাম)। ভোট দেওয়া শেষ হলে নিশ্চিতকরণে এ কনফার্ম বাটন ব্যবহার করা হতো। এ দুটি বোতাম আমরা এখন তুলে দিতে চাচ্ছি।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি তুলে ধরে অপর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ব্যালট পেপারে কেউ অন্য প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারলে তা আর সংশোধনের সুযোগ থাকে না। কিন্তু ইভিএমে এটি আছে। এতে অনেক সময় লাগে। তাই কনফার্ম বা নিশ্চিত বাটনটি বাতিল করার চিন্তা-ভাবনা চলছে।
ইসি সূত্র জানায়, অন্য জায়গায় ভোট চলে গেছে, ক্যানসেল বা বাতিল করা লাগবে। সেক্ষেত্রে লাল বোতামটি বা ক্যানসেল বাটনটি ব্যবহার হয়ে থাকে। এ বোতাম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। স্থানীয় নির্বাচনে ভোটারকে মেয়র/চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোট দিতে হয়। এক্ষেত্রে ভোটার কেবল তার পছন্দের প্রার্থীর পদটিতে ভোট দিয়ে অন্য দুই পদের ক্ষেত্রে ক্যানসেল বাটন বা লাল বোতাম চাপেন। কিন্তু এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে গিয়ে অনেক জায়গায় ভোট দিতে সময় লাগে। দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এতে ইসি সমালোচনার মুখে পড়ে। সেই চিন্তা থেকে দুটি বোতাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোনো ভোটার যদি ভুল করে অন্য প্রার্থীকে ভোট দেন, তাহলে বর্তমান পদ্ধতিতে তা সংশোধনের সুযোগ আছে। এছাড়া পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া শেষ হলে, তা নিশ্চিত করার জন্য আরেকটি বাটন বা বোতাম টিপতে হয়।