গ্রাহক সন্তুষ্টির মাধ্যমে লোকাসানে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিযোগাযোগ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এখন শুধু জনপ্রিয়ই নয়, লোকসানের দায়মুক্ত হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২২) ১৮ কোটি টাকা লোকসান পুষিয়ে নিয়ে চলতি বছরের মধ্যেই লাভের মুখ দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের চ্যালেঞ্জ।
এই প্রান্তিকে বিটিসিএল এর লাভ হয়েছে আড়াইশ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে পরিচালন খাত থেকে আয় হয়েছে ২০১ কোটি টাকা। এর ফলে সংস্থাটির লোকসানের অঙ্ক নেমে এসেছে ৯ কোটি টাকায়।
এই সাফল্য অর্জনে বিটিসিএল বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ রফিকুল মতিন-কে ধন্যবাদ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। তাকে উৎসাহিত করে তিনি বলেছেন, ‘কামনা করি সামনের প্রান্তিকে লোকসান থাকবেনা। পরের প্রান্তিকে যেন লাভের মুখ দেখা যায়।’
সূতমতে, দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন নতুন সেবা এবং ব্যবসায় অংশীদার ও গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফলে কোম্পানির লোকসান মিটিয়ে এখন তিনি লাভের মুখ দেখতে চাচ্ছেন গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। এই অর্জন বিষয়ে জানতে চাইলে ডঃ রফিকুল মতিন বললেন, ‘আল্লাহর রহমত থাকলে আগামী প্রান্তিকেই লোকসান শুন্যে নামিয়ে আনতে পারবো। স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পেরে; বিশেষ করে আমাদের মন্ত্রী মহোদয়ের সমর্থন এবং আমার কলিগসদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এই অর্জন সম্ভব হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিটিসিএল এর লোকসান ছিলো ৪২৪ কোটি টাকা। ২০ ১৯-২১ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই লোকসান ৩৪৫ কোটিতে নামিয়ে আনেন বর্তমান বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ রফিকুল মতিন। লোকসান কমানোর ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন থাকায় ২০২০-২১ অর্থবছরে বিটিসিএল এর লোকসান ২৪০ কোটি টাকায় নেমে যায়। আর ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান নেমে দাঁড়ায় ১৫২ কোটি, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৭ কোটি এবং সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে ৯ কোটিতে।
অর্থাৎ ডঃ রফিকুল মতিনের নেতৃত্বে বিটিসিএল এর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ সংস্থাটি ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ৪১৫ কোটি টাকার লোকসান মেটাতে সক্ষম হয়েছে। ফলে আগামী প্রান্তিকে শুন্যে নামিয়ে আনায় আশাবাদী সংস্থাটি।