সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্ম টিকটক ব্যবহার করে কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংঘবদ্ধ হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে হচ্ছে মানব পাচার। ছড়াচ্ছে অশ্লীলতা। বিষয়টি নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার দিবস- ২০২১’-এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।
এমন পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক এই প্লাটফর্মটিকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে পরিচালনা এবং অপরাধীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার পারমর্শ দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের দাপ্তরিক সম্মেলন কক্ষে টিকটকের সাউথ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ম্যানেজার প্রাচী ভূচার (Prachi Bhuchar) এর সাথে মতবিনিময় সভায় এই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শক্তি ব্যবহার করে যেনো কোনো ব্যবহারকারী গুজব ও অপপ্রচার করতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে টিকটক কর্তপক্ষ।
সূত্রমতে, কীভাবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আইসিটি বিভাগ টিকটকের সঙ্গে কাজ করবে সে বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেছেন এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী।
অপরদিকে টিকটক বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে একটি ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার স্থাপন করছে এবং এই সেন্টারটি কীভাবে কাজ করছে সে বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। এছাড়াও সবশেষ এইচ১ ২০২১ কনটেন্ট রিমুভ্যাল রিকোয়েস্ট রিপোর্ট উপস্থাপন করে প্ল্যাটফর্মটিকে সুরক্ষিত রাখতে এবং এর বিশ্বস্ততা রক্ষার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া কনটেন্ট রিমুভ্যাল রিকোয়েস্ট এবং সেটি নিয়ে নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয় বৈঠকে। জানানো হয়েছে, সবশেষ এইচ১ ২০২১ কনটন্টে রিমুভ্যাল রিকোয়েস্ট গ্রহণে তাদের উদ্যোগের কথাও।