২০২০ সালের ১৩ মার্চ মাইক্রোসফটের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। সেই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন জনসেবামূলক কাজে বেশি সময় অতিবাহিত করার জন্য সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির এই উদ্যোক্তা স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এরপর খবরের কাগজে প্রতিনিয়ত সংবাদের হেডলাইন হচ্ছেন বিশ্বের শীর্ষ এই ধনী। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন খবর সামনে এসেছে।
নতুন খবর অনুযায়ী বিল গেটস তার প্রতিষ্ঠানের এক কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। দু’দশকেরও আগের সেই ঘটনায় প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল মাইক্রোসফট কর্পোরেশন। তার জেরেই আন্তর্জাতিক এই সংস্থার বোর্ড থেকে সরে দাঁড়াতে হয় বিলকে। রবিবার প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে সামনে এসেছে এই তথ্যটি।
ওই আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘটনাটি দু’দশকের পুরনো হলেও মাইক্রোসফট এ বিষয়ে অবগত হয় ২০১৯ সালের শেষ ভাগে। মাক্রোসফটের এক মহিলা প্রযুক্তিবিদ চিঠি দিয়ে সংস্থাটিকে জানান, বিলের সঙ্গে বহু বছরের শারীরিক সম্পর্কের কথা। এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে তখনই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট বোর্ড। এমনকি নিরপেক্ষ বিচারে যাতে কোনওরকম সমঝোতা না হয়, তাই মামলাটির ভার দেওয়া হয় এমন একটি আইনি সংস্থাকে যারা মাইক্রোসফটের সঙ্গে যুক্ত নয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরই বিল গেটস তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে মাঝপথে থমকে যায় তদন্তটিও।
মাইক্রোসফটের প্রধান পদ থেকে বিলের ইস্তফার কারণ যে এই ধরনের একটি অভিযোগ, তা এর আগে জানিয়েছিল একটি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা। বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে তারা বলেছিল, বিলের এই সম্পর্ককে অসঙ্গত বলে রায় দিয়েছেন মাইক্রোসফটের অধিকর্তারা। তার জন্যই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বিল।
রবিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল বিলেরই এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করেছে। সংবাদপত্রটিকে ওই মুখপাত্র নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দু’দশক আগে বিল এমন একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে তা শেষ হয়েছিল বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে, দু’পক্ষের সম্মতিতেই।