অনলাইন শিক্ষায় অংশগ্রহণের আনুপাতিক শতকরা হিসাব প্রকাশ করে কোভিড ১৯ সময়ে দেশে ডিজিটাল বৈষম্য বেড়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম।
বলা হচ্ছে, অনলাইন ভিডিও শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণে জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়েছে ২১ শতাংশ বাড়ির ছেলে মেয়েরা। এর মধ্যে গ্রামের শিক্ষার্থীদের হার ছিলো ১৯ শতাংশ এবং শহরের শিক্ষার্থীর হার ছিলো ২৭ শতাংশ।
শনিবার ভার্চুয়াল আলোচনায় সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এ জরিপ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান।
জরিপে অনলাইন ক্লাশের কার্যকারিতা নিয়ে গ্রাম ও শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য পায়নি সানেম। তবে এই হারটা মাত্র ২৯ শতাংশের মতো। আর এদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে অনলাইন/টিভিতে ক্লাস করে বৃত্তি পেয়েছে ১.৫৫ শতাংশ। এদের মধ্যে প্রান্তিক শিক্ষার্থীর হার ছেলো ১.৭০ শতাংশ।
অনলাইন ক্লাশের অংশগ্রহণ কম হবার কারণও তুলে ধরা হয় গবেষণা প্রতিবেদনে। একইসঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারীর অর্থনৈতিক প্রতিঘাতে দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
সানেম ২০২০ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সারা দেশে ৮ বিভাগের ৬৪টি জেলার ৫ হাজার ৫৭৭টি পরিবারের ওপর গবেষণাটি চালায়।
নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জের বিষয়টিও তুলে ধরেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক।
তিনি জানান, “রংপুর, রাজশাহী এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দারিদ্র্যের হার। অর্থাত্ গরিব হয়েছে আরো গরিব, ধনী হয়েছে আরো ধনী।”
অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহাবুবুল মোকাদ্দেম আকাশ,ড. জাহিদ হাসান এবং সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। আলোচনায় অনলাইন সংযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প অবস্থানে আসতে সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে ডিজরাপ্টেড টেকনোলজির সঙ্গে তরুণদের সংশ্লিষ্ট করার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।