গত ৫০ বছর কারিগরি শিক্ষা ধরে রাখতে পারলে দেশের ১৬ কোটি মানুষ দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদে পরিণত হতো বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। আর আগামীতে প্রযুক্তি ঘরনার দলের মানুষরাই দেশ পরিচালনা করবে বলে মনে করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এজন্যই দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক কাঠামোতে যুক্ত করেছেন ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক’ পোস্ট- যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেছেন, কারিগরি ও বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে সরে আসার কারণে দূরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার বোঝা আজ বাংলাদেশের ওপর চেপে বেসেছে।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র যন্ত্রকৌশল বিভাগের আয়োজিত ‘ট্রান্সফরমিং টু এ শিপবিল্ডিং এন্ড এক্সপোর্টিং কান্ট্রি : চ্যালেঞ্জেস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে আইইবি’র কাউন্সিল হলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় বাংলাদেশে এখন যুদ্ধজাহাজ তৈরির মতো প্রকৌশল সক্ষমতায় পৌঁছে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আইইবি’র যন্ত্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ হিরোর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফজলুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, আইইবি’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদা, আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান এবং শিপবিল্ডিং এক্সপার্ট ও থ্রি এঙ্গেল মেরিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েট ও চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ার, নেভাল আর্কিটেক্ট এন্ড ট্রান্সপোর্ট প্লানার অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার খবিরুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু)।