বেসিস এর আয়োজনে নবম নাসা স্পেস অ্যাপস বাংলাদেশ পর্বে বাংলাদেশে মোস্ট ইন্সপায়রেশন সম্মাননা জিতেছে শিশু (৮-১২ বছর) শিক্ষার্থীদের দল ‘স্পেস চ্যাম্পস’। বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এর কিডস সায়েন্টিস্ট টিমটির সদস্যরা হলেন- মিনাল, সারুনি, ওয়ারিশা, লিদিকা ও তাহরিম। এছাড়াও দেশের নয় বিভাগ থেকে ঢাকায় টিম রুবাস্ট, রাজশাহীতে ভয়েজার্স, খুলনায় স্টর্ম ট্রুপার্স, এক্লিপ্সিয়া, ময়মনসিংহে টিম ইনসেপশন, রংপুরে টিম রিকার্সন, চট্টগ্রামে টিম আলফা এবং কুমিল্লায় টিম হাইব্রিড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিজয়ী দলগুলোর মধ্যে শিশুসহ মেয়েদের অংশগ্রহণ এবং বিজয়ী হওয়ার হারও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
সূত্রমতে, এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের অংশগ্রহণ ৩০ শতাংশ এবং শিশুদের ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
শনিবার রাতে বসুন্ধরায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউইনভার্সিটির অডিটরিয়ামে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতি অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইইউবি-এর উপাচার্য প্রফেসর তানভীর হাসান, ইউএস দূতাবাস ঢাকার ইকোনোমিক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অফিসার জেমস গার্ডেনার, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান ও আরিফুল হাসান অপু এবং নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক তানভীর হোসেন খান।
৯ বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
ঢাকা : চ্যাম্পিয়ন- টিম রুবাস্ট; রানার্সআপ অ্যাস্ট্রোটাইটান্স ও সেকেন্ড রানার্স আপ টিম এক্লিপ্সো।
খুলনা : চ্যাম্পিয়ন- স্টর্ম ট্রুপার্স; রানার্সআপ টিম মহাকর্ষণ ও সেকেন্ড রানার্সআপ টিম অনির্বান।
চট্টগ্রাম : চ্যাম্পিয়ন- টিম আলফা; রানার্সআপ তুখোড় ও সেকেন্ড রানার্সআপ প্লেক্সাস।
রাজশাহী : চ্যাম্পিয়ন ভয়েজার্স; রানার্স আপ টিম এরর ৪০৪ ও সেকেন্ড রানার্সআপ মার্স মার্ভেল।
সিলেট : চ্যাম্পিয়ন- এক্লিপ্সিয়া; রানার্স আপ টিম প্রস্ফূট ও সেকেন্ড রানার্সআপ টিম অ্যাস্ট্রোগ্লাইড।
বরিশাল : চ্যাম্পিয়ন- দ্য টাইটানস, রানার্সআপ ইয়ট্টা বাইট এবং ভার্চুয়ালি সেকেন্ড রানার্সআপ স্পেস অ্যালকেমিস্ট।
ময়মনসিংহ: চ্যাম্পিয়ন- টিম ইনসেপশন; রানার্সআপ লাস্ট হোপস ও সেকেন্ড রানার্সআপ সোলার সিন্টনেল, টিম লুনার অ্যালায়েন্স।
রংপুর: চ্যাম্পিয়ন-টিম রিকার্সন; রানার্সআপ স্পেস স্কোয়াড ও সেকেন্ড রানার্সআপ গ্যালাক্টিক গ্লাডিয়েটর্স।
কুমিল্লা: চ্যাম্পিয়ন- টিম হাইব্রিড; রানার্সআপ এসফ্লাই সেকেন্ড রানার্সআপ মুন রেকার্স।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের ১৮৫টি দেশের ২৪ হাজার প্রতিযোগীর সঙ্গে ৩৬ ঘণ্টার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছে ২১০ জন। এর মধ্যে সারা দেশ থেকে ১৫০০ জনের মধ্য থেকে ৯ বিভাগীয় শহর থেকে ৫ সদস্যের ৫০টি দল শুক্রবার সকাল থেকে এআইইউবি-তে বিরতিহীন ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথনে অংশ নেয় প্রতিযোগীরা। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন আরো ১৫০জন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ৫০ জন মেন্টর ২৫ জন বিচারক ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী।